চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী শাবানা। মাত্র আট বছর বয়সে এহতেশাম পরিচালিত ‘নতুন সুর’ ছবিতে শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় শুরু করেন। এরপর একে এক অসংখ্য হিট ছবি উপহার দিয়েছেন গুণী এই অভিনেত্রী। দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে অভিনয় থেকে দূরে আছেন শাবানা। স্বামী সন্তান নিয়ে থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। তবে মাঝে-মধ্যে দেশে আসেন বেড়াতে।
সম্প্রতি কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী দেশে এসেছেন। সঙ্গে আছেন স্বামী চিত্রপ্রযোজক ওয়াহিদ সাদিক। দেশে ফিরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন শাবানা। কথা বলেছেন অভিনয় ও অতীত জীবন নিয়ে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পোশাকের প্রসঙ্গ টেনে শাবানা বলেন, ‘আমি পোশাকের ব্যাপারে খুব সচেতন ছিলাম। একবার “বধূ বিদায়” ছবিতে পরিচালক প্রথমে আমাকে গল্পটা শোনালেন। এরপর গ্রামের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য বললেন। পরিচালক জানান, এটা এমন একটি চরিত্র গ্রামের মেয়ে খালি গাঁয়ে শুধু একটা শাড়ি পরে অভিনয় করতে হবে। তখন আমি তাকে না করে দিয়েছিলাম। তখন পরিচালক আমায় শহরের মেয়ের চরিত্র দিয়েছিলেন।’
অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমি সব সময় গল্প ও চরিত্র নিয়ে ভাবতাম। কোথাও শুটিংয়ে গেলে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতাম। পরিচালক ও নায়ক নিয়ে অতটা ভাবতাম না। আমি চাইতাম ছবিতে আমার চরিত্রটা যেন ভালো হোক।’
উল্লেখ্য, শাবানার পারিবারিক নাম আফরোজা সুলতানা রত্মা। তিন যুগের অভিনয় ক্যারিয়ারে শাবানা অভিনয় করেছেন প্রায় ২৯৯টি ছবিতে। নাদিম, রাজ্জাক, আলমগীর, ফারুক, জসীম, সোহেল রানার সঙ্গে জুটি বেঁধে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় ছবি।
শাবানা অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর তালিকায় আছে- ‘চকোরী’, ‘ভাত দে’, ‘রাঙা ভাবী’, ‘অবুঝ মন’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘দোস্ত দুশমন’, ‘সত্যের মৃত্যু নেই’, ‘রাঙা ভাবী’, ‘বাংলার নায়ক’, ‘ওরা এগারো জন’, ‘বিরোধ’, ‘আনাড়ি’, ‘সমাধান’, ‘জীবনসাথী’, ‘মাটির ঘর’, ‘লুটেরা’, ‘সখি তুমি কার’, ‘কেউ কারো নয়’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘স্বামী কেন আসামি’, ‘দুঃসাহস’, ‘পুত্রবধূ’, ‘আক্রোশ’ ও ‘চাঁপা ডাঙার বউ’ ইত্যাদি। আর অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে শাবানা পেয়েছেন ১০বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ১৯৯৭ সালে অজানা কারণে চলচ্চিত্র থেকে বিদায় নেন গুণী এই অভিনেত্রী।