খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অজয় সরকারকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবে না এই মর্মে ৭দিনের সময় দিয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী।
এছাড়া সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুর রহমান রিপন ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা হালিমা ইসলামকে জেলা পরিষদ নির্বাচন বিষয়ে নানাবিধ অভিযোগের ভিত্তিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সম্প্রতি জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ডাক্তার শেখ বাহারুল আলমকে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ থেকে সাময়িক বহিস্কার করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাচিপের কমিটিকে অবহিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পাশাপাশি কয়রা সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিরিঞ্চি রায়ের জমি দখলের অভিযোগ, লতা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে লতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহরাব হোসেনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করার ঘটনার অভিযোগ, রুপসা উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সম্মেলন বাঁধা গ্রস্থ করার বিষয়ে অভিযোগ এবং ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা সরোয়ারের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের বিষয়ে একটি অভিযোগের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পৃথক পৃথক তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশিদ এবং পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী যুগান্তরকে জানান, সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ড ও দলীয় ভাবমূর্তি ভঙ্গের কারণে অজয় সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সভায় ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে খুলনা জেলার কাউন্সিলর ও ডেলিগেট তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়।