আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের আওতায় এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে বিদেশের ৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে ৩৪২ জন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গতবারের চেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবার কমেছে ৮৭ হাজার ৫৫৪ জন।
এসএসসি পরীক্ষা সোমবার শুরু হয়ে চলবে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
দাখিল পরীক্ষা চলবে ১ মার্চ পর্যন্ত। দাখিলের ব্যবহারিক পরীক্ষা চলবে ৮ মার্চ পর্যন্ত।
একইসাথে কাল থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষাও শুরু হচ্ছে। ভোকেশনালের ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চের মধ্যে নেয়া হবে। ৭ মার্চ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে বস্তব প্রশিক্ষণ।
শিক্ষা মন্ত্রণায়ল সূত্র জানায়, চলতি বছর ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৯৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে। যদিও গতবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন। অর্থাৎ এবছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী কমেছে সাড়ে ৮৭ হাজার। গত বছরের থেকে চলতি বছর ৪৬ হাজার ৭৮জন ছাত্র ও ৪১ হাজার ৪৭৬ জন ছাত্রী কমেছে।
সূত্র আরো জানায়, ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৪০ জন পরীক্ষার্থী চলতি বছরের এসএসসি, ২ লাখ ৮১ হাজার ২৫৪ জন পরীক্ষার্থী দাখিল এবং ১ লাখ ৩১ হাজার ২৮৫জন শিক্ষার্থী এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নেবে।
শিক্ষা বোর্ডের ছয় দফা নির্দেশনা
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পরিচালনায় শিক্ষা বোর্ড, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যজিস্ট্রেটদের ছয় দফা নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে এসএসসি, দাখিল এবং এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো শিক্ষার্থী দেরি করে কেন্দ্রে আসলে রেজিস্ট্রারের নাম, ক্রমিক নং ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করতে হবে। দেরিতে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাবেন কেন্দ্র সচিব।
কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত মোবাইল ফোন বা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে।