বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নিরবের পরকীয়ার অভিযোগ নিয়ে সুর পাল্টালেন স্ত্রী ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে কী কথা হলো, জানালেন মির্জা ফখরুল ভারত থেকে চিন্ময়ের মুক্তি দাবি কিসের আলামত, প্রশ্ন রিজভীর আইনজীবী হত্যার ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেফতার ৬ : প্রেস উইং চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের বিবৃতি দেয়া অনধিকার চর্চা : উপদেষ্টা নাহিদ রয়টার্সের মনগড়া সংবাদের প্রতিবাদ জানালো সিএমপি হাইকোর্টের নজরে ইসকন-চট্টগ্রামের ঘটনা : আদালতকে পদক্ষেপ জানাবে সরকার ইসকন ইস্যুতে দেশি-বিদেশি ইন্ধন থাকতে পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা, যে নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে : তারেক রহমান

ডাল আমদানিতে বছরে ব্যয় ৬-৭ হাজার কোটি টাকা

বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৮২ বার

দেশে বর্তমানে ডালের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৬ লাখ টন। সেখানে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ১০ লাখ টন। অতিরিক্ত চাহিদা পূরণে প্রতি বছর বিদেশ থেকে বিভিন্ন পদের প্রায় ১৩-১৪ লাখ টন ডাল আমদানি করে সরকার। এতে ব্যয় হয় প্রায় ৬-৭ হাজার কোটি টাকা।

শুক্রবার রাজধানীর ফার্মগেটস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে বিশ্ব ডাল দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ডাল গবেষণা কেন্দ্র দেশে প্রথমবারের মতো বিশ্ব ডাল দিবস পালন উপলক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করে।

এর আগে সকালে র‌্যালি ও ডালের তৈরি খাবারের প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিলো টেকসই আগামীর জন্য ডাল।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, ছোট্ট দেশে থেকে ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগানের জন্য বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে প্রতিযোগিতা করতে হয়। ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য, এটির উৎপাদনে গুরুত্ব বেশি দিতে হয়। ধানের সাথে ডালসহ অন্যান্য ফসল প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে। সেজন্য, আমরা ধানের উৎপাদন না কমিয়ে ডালের উৎপাদন বাড়াতে গুরুত্ব দিচ্ছি। এ বছর যেমন আমরা ধানের উৎপাদন না কমিয়েই ২ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে সরিষা আবাদ বাড়াতে পেরেছি, তেমনি ডালের উৎপাদন বাড়াতেও সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। যাতে বছরে ১৩-১৪ লাখ টন ডাল উৎপাদন করতে পারি, তাতে আমদানি নির্ভরতা অনেকটা হ্রাস পাবে।

কৃষিসচিব বলেন, বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির কারণে বিগত ১৪ বছরে ডালের উৎপাদন প্রায় চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে বর্তমানে ডাল উৎপাদন হয় প্রায় ১০ লাখ টন। কিন্তু ডালের চাহিদা বছরে প্রায় ২৬ লাখ টন। ফলে প্রতিবছর প্রায় ১৩ থেকে ১৪ লাখ টন ডাল আমদানি করতে হয়। এতে প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়।

সেমিনারে বারির ডাল গবেষণা কেন্দ্র জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন গড়ে ৪৫ গ্রাম ডালজাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। দেশে মাথাপিছু প্রাপ্যতা ২৮ গ্রাম, আর মানুষ মাথাপিছু মাত্র ১৭ গ্রাম ডাল খেয়ে থাকে। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।

সেমিনারে আলোচকেরা বলেন, ক্রমাগতভাবে দেশে আবাদি জমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে। ফলে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পুষ্টিনিরাপত্তার জন্য উচ্চফলনশীল জাতের ডাল ফসল উদ্ভাবন, সম্প্রসারণ ও ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন। এই শস্য বিন্যাসে ডাল ফসলের আবাদ সম্পপ্রসারিত করার সুযোগ সীমিত। তবে বৃহত্তর বরেন্দ্র অঞ্চল, চরাঞ্চল, পাহাড়ি অঞ্চল, উপকূলীয় অঞ্চল, রেল সড়ক ও রাস্তার ধারে এবং বসতবাড়িতে উপযুক্ততা বিবেচনায় ডাল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সম্পপ্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও আমরা বিভিন্ন মাঠশস্য ও ফল বাগানে (কুল, কলা, পেয়ারা, মাল্টা, আম, লিচু ইত্যাদি) ডাল ফসলকে মিশ্র ফসল ও আত্মফসল হিসেবে চাষের মাধ্যমে ডালের উৎপাদন বৃদ্ধি করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার বলেন, ডাল বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টায় অনেক আধুনিক উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবিত হয়েছে, যা প্রশংসার দাবি রাখে। এসব উচ্চফলনশীল জাতের চাষ ও সঠিক প্রযুক্তি ব্যবহার করলে হেক্টর প্রতি ফলন ২.৫ টনে উন্নীত করা সম্ভব হবে। তাহলে স্বল্প জমি থেকেই বেশি ডাল উৎপাদিত হবে।

বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো: বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, সদস্য পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, ডাল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক মো: মহিউদ্দিন, সাবেক পরিচালক তপন কুমার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আশুতোষ সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com