চীনে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ১৬০০ ছাড়িয়েছে৷ এদিকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করলে তার মৃত্যুদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির একটি আদালত৷
চীনে ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ করোনা ভাইরাসের উপসর্গ গোপন করলে কিংবা ভুল তথ্য দিলে তা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে৷ আর এর শাস্তি হিসেবে এমনকি মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে৷ চীনের একটি আদালত এমন নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ডিপিএ৷
শনিবার আদালত এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে৷ তাতে বলা হয়েছে, ভ্রমণের তথ্য লুকালেও তা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে৷ স্থানীয় সংবাদপত্র বেইজিং ডেইলি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে কেউ ভাইরাসটি ছড়াতে সহযোগিতা করলে তাকে মানুষের নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলার অপরাধে অভিযুক্ত করা যাবে৷ গুরুতর ক্ষেত্রে নির্দেশনা অমান্যকারীদের ১০ বছরের জেল, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে৷
এদিকে শনিবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনও একটি নতুন নির্দেশনা দিয়েছে৷ সেখানে জ্বর, কাশি অথবা অন্য কোন রোগে আক্রান্তদের সড়ক, রেল কিংবা বিমানে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে৷
নববর্ষের দীর্ঘ ছুটি শেষে শহরগুলোতে ফিরতে শুরু করেছে চীনের মানুষ৷ কেউ নতুন করে ফিরে আসলে তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং কর্তৃপক্ষ৷ সেক্ষেত্রে বাড়িতে স্বেচ্ছায় বা পর্যবেক্ষণে এই সুরক্ষা নিতে হবে তাদের৷
নির্দেশ অমান্যকারীদের আইনের মুখোমুখি এবং শাস্তি পেতে হবে বলেও জানানো হয়েছে৷ নির্দেশনাটি কিভাবে কার্যকর হবে কিংবা শাস্তির মাত্রা কেমন হবে সে বিষয়ে এই নির্দেশনায় কিছু উল্লেখ করা হয়নি৷
ইউরোপে প্রথম মৃত্যু
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শনিবার ফ্রান্সে একজনের মৃত্যু হয়েছে৷ দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন৷ ইউরোপে এই রোগে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা এটি৷
মারা যাওয়া ব্যক্তি চীনের আশি বছর বয়সী নাগরিক৷ জানুয়ারির ২৫ তারিখ থেকে তিনি এবং তার কন্যা ফ্রান্সের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন৷ তার মেয়ের অবস্থা উদ্বেগজনক নয়৷ শিগগিরই তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হতে পারে বলে মন্ত্রীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে ফরাসী সংবাদপত্র ল্যু ফিগারো৷
এর আগে চীনের বাইরে ফিলিপাইন্স, হংকং এবং জাপানে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে৷ ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত ১১ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে৷
কিছু না থাকার চেয়ে ভালো
ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে এমন মাস্ক কার্যকর বলে প্রমাণিত না হলেও এগুলো অন্তত কিছু জীবাণু মুখ কিংবা নাকে যাওয়া ঠেকাতে পারে৷ এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, মাস্ক পরা থাকলে মানুষের হাত যখন-তখন মুখ বা নাকে যায় না৷ আপনি যদি অসুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে এমন মাস্ক অন্যদের আক্রমণ থেকে বাঁচাবে৷
সূত্র : ডি/ডব্লিউ, এফএস, এআই (ডিপিএ, এএফপি, এপি)