অভিবাসন সঙ্কট বা চুরি কিংবা কোভিড-পরবর্তী অর্থনৈতিক জটিলতা নয়, নিউ ইয়র্ক সিটির সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ধর্মবিশ্বাসের অভাব। এমনটাই মনে করেন নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস।
অ্যাডামস জোর দিয়ে বলেন, নিউ ইয়র্ক সিটির জীবনযাপনে ধর্ম ও স্রষ্টা অনেক বেশি পারস্পরিকভাবে সম্পর্কযুক্ত। আর বিশ্বাসের অভাবই নগরীর জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা সৃষ্টি করেছে।
বৃহস্পতিবার কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি মানসিক স্বাস্থ্য সম্মেলনে ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশে অ্যাডামস বলেন, ‘আমাদের চ্যালেঞ্জ অর্থনৈতিক নয়, আমাদের চ্যালেঞ্জ আর্থিক নয়, আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো বিশ্বাসের- মানুষ তাদের বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি পুরোপুরি হতবুদ্ধি হয়ে গেছি। আমরা এর [বিশ্বাস] গুরুত্ব বুঝতে যে পারছি না, তাতেই আমি হতবুদ্ধি হয়ে গেছি।’
নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র কখনোই তার ব্যক্তিগত ধর্মীয় বিশ্বাসের বিষয়টি গোপন করেননি। তিনি আগেও চার্চ ও রাষ্ট্রের বিভাজনের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
অ্যাডামস বলেন, ‘মানুষ যখন এই নগরীতে হাঁটে, তারা যখন বাস থেকে নামে, আশ্রয়প্রার্থীরা যখন এখানে আসে, তারা যখন বিমান বা আমট্র্যাকে করে প্রথমবারের মতো এই শহরে প্রবেশ করে, তখন কি তারা ¯্রষ্টাকে অনুভব করে?’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এতসব মন্দির, এতসব মসজিদ, এতসব সিনাগগ, এতসব চার্চ, এতসব বৌদ্ধ মন্দির থাকা সত্ত্বেও তারা যখন নিউ ইয়র্কে আসে, তখন কি তারা স্রষ্টাকে অনুভব করে?’
তিনি আরো বলেন, ‘কারণ এটা যদি স্রষ্টার গৃহ হতো, তবে আমরা এই প্রশ্নটি করতাম না : আমাদের আশ্রয়প্রার্থীদের নিয়ে আমরা কী করব?’
অ্যাডামস এগিয়ে এসে নগরীর তরুণদের শিক্ষিত করতে সহায়তা করার জন্য কাতর আহ্বান জানিয়ে তাদের বলেন যে ‘আপনাদের আমাদের দরকার।’
নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র জোর দিয়ে বলেন, আধ্যাত্মিকতাকে বর্তমানে যেভাবে প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে, তাতে করে বিশেষ করে তরুণ নিউ ইয়র্কার ও আমেরিকানরা সমস্যায় পড়বে।
তিনি বলেন, ‘এই মাত্র গতকাল ১৪ বছরের একটি শিশু তার ছোট বোনকে ছুরিকাঘাত করেছে, একবার নয়, ১৫ বার। লোকজন আমাকে বার বার প্রশ্ন করছে।
সূত্র : নিউ ইয়র্ক পোস্ট