গরম পড়লেই নানারকম ত্বক ও চুলের সমস্যা শুরু হয়ে যায়। তাপদাহ থেকে যেমন হিটস্ট্রোকের মতো সমস্যা দেখা যায়, তেমনই রোদে থাকার কারণে ত্বকে নানারকম রোগও জাঁকিয়ে বসে। একদিকে যেমন জৌলুস হয়ে যায় ম্লান, তেমনই শুরু হয়ে যায় স্কিন ব়্যাশের সমস্যা। এমন পরিস্থিতিতে ত্বকের দরকার বিশেষ আড়াল। বিশেষত সূর্যের UV রশ্মি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে, যা অকালে বার্ধক্য, ট্যানিংয়ের মতো সমস্যা ডেকেআনতে পারে। খুব কম ক্ষেত্রে হলেও ত্বকের ক্যান্সারের কারণও হতে পারে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি।
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য সানস্ক্রিনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে। যেমন জিঙ্ক অক্সাইড, টাইটানিয়াম অক্সাইড।
সানস্ক্রিন আমাদের ত্বকে একটি স্তরের মতো কাজ করে যা প্রবল সূর্যালোক থেকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি দ্বারা সরাসরি ক্ষতি থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য সানস্ক্রিনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে। যেমন জিঙ্ক অক্সাইড, টাইটানিয়াম অক্সাইড। এটি আমাদের ত্বককে বার্ধক্যজনিত প্রভাব থেকে রক্ষা করে যেমন অকাল বার্ধক্য এবং রোদে পোড়া।
সানস্ক্রিনের প্রভাব বেশিরভাগই নির্ভর করে এতে উপস্থিত SPF অর্থাৎ সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টরের উপর। সানস্ক্রিনে এসপিএফ যত বেশি হবে, সানস্ক্রিন তত বেশি কার্যকর হবে। সানস্ক্রিনে এসপিএফ-এর পরিমাণ যদি ১৫ হয়, তাহলে ত্বক সানস্ক্রিনের আড়াল ছাড়া ত্বকের থেকে ১৫ গুণ বেশি সুরক্ষিত।
সানস্ক্রিনের সর্বাধিক সুবিধা পেতে, বাইরে যাওয়ার কমপক্ষে ১০ মিনিট আগে এটি প্রয়োগ করুন এবং প্রতি দুই ঘন্টা পর পর পুনরায় প্রয়োগ করুন। প্রথমে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত, তারপর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। যারা মেক-আপ করেন তাঁদেরও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। চোখের নিচে সানস্ক্রিন লাগিয়ে বাইরে যান, এতে চোখের নিচে আই ব্যাগ তৈরি হওয়ার প্রবণতা কমে।