মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় পদ্মা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের একটি ট্রলারডুবির ঘটনায় আটজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন কয়েকজন। ইতিমধ্যে তাদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক সাইদা তাপসী রাবেয়া লোপা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গতকাল শনিবার দুপুরে নারী-শিশুসহ ৪৬ জন ব্যক্তি ট্রলারে করে পদ্মা নদীতে পিকনিকে যান। সন্ধ্যায় পিকনিক শেষে ট্রলারটি উচ্চ শব্দে গান বাজাতে বাজাতে তালতলা-গৌরগঞ্জ খাল দিয়ে লতাব্দির দিকে যাচ্ছিল। রাত সাড়ে ৮টার দিকে লৌহজংয়ের রসকাঠি এলাকায় বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়।
এ সময় ট্রলারের অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠলেও ১২ জন নিখোঁজ হন। এর মধ্যে আটজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৩৪ জনকে।
এদিকে ভারী বৃষ্টিতে বৈরি আবহাওয়ার কারণে শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেয় ফায়ার সার্ভিস। আজ সকাল থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।
সিরাজদিখান উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মারা যাওয়া আটজন হলেন- মোকসেদা (৪০), হ্যাপি আক্তার (২৮) ও তার বোন পপি (২৬), হুমায়রা (৫ মাস), ফারিহান (১০), রাকিব (১২) ও তার ভাই সাকিব (৮) ও সাজিবুল (৫)। তাদের সবার বাড়ি সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দি ইউনিয়নে।
এদিকে ট্রলারডুবিতে আটজন নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। তদন্ত কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আবুজাফর রিপন বলেন, ‘আমরা পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এই কমিটির আহ্বায়ক। এই কমিটি তিন কর্মদিবসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দেবে।’