রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনকে আরও ১০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছ যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন কিয়েভ সফরকালে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সহায়তার মধ্যে ৬৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার দেওয়ার হবে সামরিক ও বেসামরিক নিরাপত্তা সহযোগিতায়। সফরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের অগ্রগতির প্রশংসা করেন ব্লিঙ্কেন।
নতুন এই সহায়তায় এইচআইএমআরএস ক্ষেপণাস্ত্র, জ্যাভেলিন অ্যান্টিট্যাঙ্ক অস্ত্র, আব্রাহাম ট্যাংকসহ অন্যান্য অস্ত্র ব্যবস্থা থাকছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারন জন পিয়ের বুধবার বলেন, তারা ইউক্রেনকে ইউরেনিয়াম অস্ত্রও দেবে।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেন সাফল্য অর্জন করেছে। আমাদের এই সহায়তা তাদের এই সাফল্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে।’
এর আগে গত ৩০ আগস্ট ২৫ কোটি ডলার সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সহায়তার আওতায় যুদ্ধ সরঞ্জাম ও মাইন সরানোর যন্ত্র দেওয়া হয়। চলতি গ্রীষ্মে ইউক্রেনীয় সেনারা রুশ প্রতিরক্ষা ভেদ করতে হিমশিম খাচ্ছে। স্থলমাইন ও বেড়া ভেঙে আক্রমণ সুসংহত করতে পারছে না কিয়েভ।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিমা অন্যান্য দেশগুলোও ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ালেও রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনের মূল শক্তি ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এখন পর্যন্ত কোটি কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছে তারা।