ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসার খবর গতকাল শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় নিজেই জানিয়েছেন ৫৫ বছর বয়সী জনসন। তিনি স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলার লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে, জনসনের করোনা আক্রান্তের খবর শুনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেছেন তার সিনিয়র উপদেষ্টা ডমিনিক কামিংস।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়ে বরিস জনসনের টুইট করার কিছুক্ষণ আগে অন্য কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সিনিয়র উপদেষ্টা ডমিনিক কামিংসও তার কার্যালয়ে ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনেই তিনি হন্তদন্ত হয়ে কাউকে কিছু না বলে পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে ছুটতে থাকেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার কাঁধে ল্যাপটপ ব্যাগ ঝোলানো ছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সিসিটিভির একটি ফুটেজে দেখা যায়, বা হাতে একটা ব্যাগ কোনোরকমে চেপে ধরে ডমিনিক কামিংস ছুটে পালিয়ে যাচ্ছেন।
ডমিনিক কামিংসের বরাত দিয়ে স্কাই নিউজের খবরে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে লন্ডনের আন্ডারগ্রাউন্ড এড়ানোসহ বিশেষভাবে সতর্কতা অবলম্বন করছিলেন কামিংস। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনেই দ্রুত ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট ত্যাগ করেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তার মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক শুক্রবার এক টুইট বার্তায় তার করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর জানিয়েছেন।
এছাড়া যুক্তরাজ্যের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ক্রিস হুইটির শরীরেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। প্রথম দু’জনের টেস্ট রেজাল্ট পজেটিভ এলেও হুইটির বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তিনি নিজেই সাত দিনের সেলফ-আইসোলেশনে গেছেন।