বিশ্ব ভালোবাসা দিবস দরজায় কড়া নাড়ছে। আর মাত্র একদিন পর ভ্যালেন্টাইনস ডে। বিশেষ এই দিনে ক্ষণে কে না চায় ভালোবাসার মানুষটিকে খুশি করতে। এজন্য নিযুত প্রচেষ্টা থাকে প্রেমিক মনে।
উপহার দেওয়া থেকে শুরু করে হাত ধরে ঘোরাঘুরি করে দিন পার করে দেওয়া-সবই করে থাকেন। কিন্তু জানেন কী, এই দিনে কী ধরনের উপহারে আপনার পছন্দের মানুষটি খুশি হন। আসুন জেনে নিই ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনের পছন্দের উপহার সম্পর্কে।
লাল গোলাপ : লাল টুকটুকে গোলাপ ভালোবাসার প্রতীক। এতে অসীম ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনকে খুশি রাখতে তাই দিতে পারেন একগুচ্ছ লাল গোলাপ। কাউকে প্রপোজ করতেও এর জুড়ি মেলাভার।
ঘর সাজাতে গাছ : গাছ কেবল শোভা বাড়ায় না। এটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তাইতো অনেকে আজকাল ঘর সবুজায়নের ব্যবস্থা করেন। বাসা বা অফিসে কাজের টেবিল ও আশপাশে ছোট ছোট গাছের টব রাখা যেতে পারে। ঘৃতকুমারি বা অ্যালোভেরা, রাবার, মাদার্স-ইন-লস টাঙ ও স্নেক পামসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। এসব গাছের চারার খুব বেশি দাম নয়। তবে টবের কারণে দামের ব্যবধান হয়ে থাকে। তাই চাইলে অল্প দামে প্লাস্টিকের টব নিতে পারেন।
ফটোফ্রেম : কথায় আছে- সিম্পলিসিটি ইজ দ্য বেস্ট। যতগুলো উপহার আছে, তন্মধ্যে এটি সাধারণ মনে হতে পারে। তবে উপহার হিসেবে এর কদর রয়েছে। বিশেষ দিনটিতে প্রিয়জনকে এটি দিতে পারেন। যাতে ভালো লাগার কিছু মুহূর্তের ছবি ফ্রেমবন্দি করে রাখা যায়।
নেকলেস : পছন্দের নেকলেসও কিনে দিতে পারেন ভালোবাসা দিবস সামনে রেখে।
হাতঘড়ি : চিকন ফিতার হাতঘড়ি মেয়েদের পছন্দ। ভালোবাসাবাসির দিনটিতে হাতঘড়ি দিয়ে আপনার প্রেয়সিকে খুশি করতে পারেন।
বই : উপহার হিসেবে বইয়ের চেয়ে উত্তম আর কিছুই নেই। ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনকে খুশি রাখতে তাই দিতে পারেন রোমান্টিক ঘরানার কবিতা, গল্প বা উপন্যাসের বই। চাইলে প্রথম পাতায় কিছু লিখেও দিতে পারেন। এজন্য আজই ঢু মেরে আসতে পারেন একুশে বইমেলা থেকে। সেখান থেকে রোমান্সে টইটুম্বুর বই কিনে দিতে পারেন মনের মানুষকে।
চকলেট : এটি অনেকেরই প্রিয় খাবার। তাই এই দিনে ভালোবাসা আরও মিষ্টি করতে উপহার হিসেবে দিতে পারেন চকলেট।
মনে রাখবেন উপহার যাই হোক, তা যেন উপস্থাপন করা হয় আকর্ষণীয় ঢঙে। কারণ এর মাধ্যমেই দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।