নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এখন থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নেয়া প্রকল্পগুলোতে বিশেষ নজরদারি রাখবেন জেলা প্রশাসকরা। প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা, তাও দেখভাল করবেন জেলা প্রশাসক। পাশাপাশি বিভাগীয় প্রশাসনকেও প্রকল্পের কর্মকাণ্ড দেখাশুনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সোমবার ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৪ এর দ্বিতীয় দিনের ষষ্ঠ কার্য অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী রোববার একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্দেশনা অনুযায়ী, মন্ত্রণালয়ের যে প্রকল্পগুলো আছে, সেসব প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক থাকেন, সেই প্রকল্প পরিচালকের বাইরেও, জেলা প্রশাসন এবং বিভাগীয় প্রশাসন এগুলো দেখাশুনা করবেন।
তিনি বলেন, প্রকল্প নেয়ার ক্ষেত্রে আমরা প্রকল্প নিয়ে নেই। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেক সময় স্থানীয়ভাবে প্রশাসন সেখানে সমস্যার মধ্যে পড়ে। এটার যেন সমন্বয় হয়, সেটার প্রতিই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ডিসিরাও সমস্যায় পড়েন সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন তো ডিসিরা করেন না। বাস্তবায়ন সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা, জেলা প্রশাসককে সেটি দেখভাল করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রকল্প পরিচালক আছে এবং বাস্তবায়নের জন্য একটা টিম থাকে তারা বাস্তবায়ন করে। সেখানে প্রকল্পটির সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা, সেটা জেলা প্রশাসকরা ক্রস চেক করবেন। যেমন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের দুর্বলতা দেখাচ্ছে কিনা, এটা যেন স্থানীয় প্রশাসন দেখভাল করে।
বিভিন্ন জায়গায় নদী দখল বড় সমস্যা, যা স্থানীয় রাজনীতিবিদ বা প্রভাবশালী যারা আছেন, তাদের প্ররোচনায় হয় এবং কখনো কখনো প্রশাসনের কিছু করার থাকে না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা তো অতীত। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশকেই তো দখল করে ফেলা হয়েছিল। বাংলাদেশের গতিপথ পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে বাংলাদেশকে আমরা পেয়েছিলাম, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে, সেক্ষেত্রে নদীও রক্ষা পায়নি। কাজেই সে জায়গা থেকে আমরা নতুন একটি সম্ভাবনার জায়গায় এসেছি। মানুষের নদী দখল করার যে চিন্তা-ভাবনা ছিল, সেখান থেকে দূরে সরে গেছে।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী দখলমুক্ত করতে বর্তমান সরকারের শক্ত অবস্থানের কারণে আমূল-পরিবর্তন হয়েছে। সেখানে গণমাধ্যম আমাদের সাথে ছিল। গণমাধ্যমের সহায়তা পেয়েছি এবং আমাদের এই কঠোর অবস্থানটা এখনো চলমান আছে। এই জায়গায় কোনো ধরনের কম্প্রোমাইজ করা হবে না বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
সূত্র : বাসস