প্রোবায়োটিক সম্পর্কে আমাদের স্পষ্ট ধারণা কম। জনপ্রিয় মার্কিন পুষ্টিবিদ ডেরিল জিওফ্রে মেক ইটের এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, প্রোবায়োটিক মূলত এক ধরনের অণুজীব যেগুলোকে আমরা ভালো ব্যাকটেরিয়া হিসেবে অভিহিত করি। যে খাবারে এমন অণুজীব থাকে সেগুলো অন্ত্রকে ভালো রাখে। গরমে প্রোবায়োটিক রয়েছে এমন খাবার খাওয়া ভালো। চলুন জেনে নেই কোন খাবারগুলোতে প্রোবায়োটিক রয়েছে:
দই
দই সর্বাধিক জনপ্রিয় প্রোবায়োটিক খাবার। দইয়ে প্রচুর একটিভ ব্যাকটেরিয়া থাকে যেগুলো আমাদের অন্ত্রের জন্য উপকারী। দই দুধ থেকে তৈরি হলেও এতে দুধের চেয়ে বেশী প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম এবং প্রোবায়োটিক থাকে। বেশি উপকারিতা পেতে আপনি ঘরেই দই বানিয়ে খেতে পারেন।
পনির
দেশের বাজারে বিভিন্ন ধরনের পনির পাওয়া যায়। কটেজ চিজ বা পনিরে প্রোবায়োটিক সবচেয়ে বেশী থাকে। এই পনির সাধারণত নানারকম রান্নায় ব্যবহৃত হয় এবং এতে প্রোটিনও অনেক বেশী মাত্রায় থাকে। এতে অ্যাসিডের পরিমাণ কম থাকায় ভালো ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে সাহায্য করে। ফার্মেন্টেশনের পরেও পনিরে আসল দুধের প্রায় ৯০% ফ্যাট এবং প্রোটিন, ৫০% মিনারেল, এবং ১০% ল্যাক্টোজ বর্তমান থাকে।
বাটার মিল্ক
মাঠা, বাটার মিল্ক অনেক জনপ্রিয় ও সুপরিচিত পানীয়। অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্যের মতো, এতেও প্রচুর পরিমানে প্রোবায়োটিক রয়েছে। দই এর মতই এর স্বাদও কিছুটা টক। খাবারের পরে এক গ্লাস বাটার মিল্ক পান করলে আপনার হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। শুধু তাই নয়, এটি আপনার অভ্যন্তরীণ সিস্টেম যে ভালো অবস্থায় আছে তা নিশ্চিত করে। বাটার মিল্ক বা ঘোল বয়স্ক লোকদের জন্য বেশ উপকারী পানীয়।