টাইগার বোলারদের দাপটে চট্টগ্রামে ধুঁকছে জিম্বাবুয়ে। ভেঙে গেছে তাদের টপ অর্ডারে, বেড়িয়ে এসেছে লেজ। মেহেদী-তাসকিনদের সামনে দাঁড়াতেই পারছে না তারা। ৮ ওভারে ৪২ রান তুলেই তারা হারিয়েছে ৭ উইকেট।
শুরুটা করেছিলেন শেখ মেহেদী। খেলা শুরু হতেই তার হাত ধরে উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই ক্রেইগ আরভিনের উইকেট ভাঙেন তিনি। আরভিনকে ফেরান ডাক উপহার দিয়ে।
পরের আঘাত আসে সাইফুদ্দীনের হাত ধরে। বফেরার অপেক্ষাটা দেড় বছরের হলেও উইকেট তুলে নিতে দেরি করেননি। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়েই পেয়ে গেছেন উইকেটের দেখা। ১৪ বলে ১৭ করা জয়লর্ড গাম্বেকে ফিরিয়ে করলেন চিরচেনা সেই উদযাপন।
এরপর পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের প্রথম বলে রান আউট হয়ে ফেরেন ব্রায়ান বেনেট। ১৫ বলে ১৬ রান করেন তিনি। তবে বড় ধাক্কাটা আসে পরের বলে সিকান্দার রাজা গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরলে। ৩৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে শেষ হয় পাওয়ার প্লে।
তবে বিপর্যয় থামেনি তখনো। পরের ওভারে এসে তাসকিন প্রথম দুই বল থেকেই তুলে নেন জোড়া উইকেট। জোড়া গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন শন উইলিয়ামস আর রায়ান বার্ল। জেগে উঠে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও। যদিও তা হয়নি।
অষ্টম ওভারে এসে নিজের দ্বিতীয় উইকেটটা তুলে নেন সাইফুদ্দীন। তাওহীদ হৃদয়ের অসাধারণ ক্যাচ হয়ে ফেরেন লুক জঙ্গি। ৪১ রানে ৭ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
এভাবে চলতে থাকলে লজ্জার এক রেকর্ড গড়বে জিম্বাবুয়ে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাদের সর্বনিম্ন রান ৮২। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে আজ হয়তো তা ভেঙে যেতে পারে।