তেলেঙ্গানার মন্ত্রী কোন্ডা সুরেখার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সামান্থা রুথ প্রভু ও নাগা চৈতন্যর ডিভোর্স নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়েছে। সুরেখার বক্তব্য ছিল, সামান্থা-নাগার বিচ্ছেদের নেপথ্যে রয়েছেন তৎকালীন মন্ত্রী কেটি রামা রাও ওরফে কেটিআর।
তার ব্ল্যাকমেইলের জেরেই নাকি দুজনের সম্পর্কে তিক্ততা হয়েছিল। যা ডিভোর্স পর্যন্ত গড়ায়। ছেলে ও প্রাক্তন বউমাকে নিয়ে এমন মন্তব্যে বেজায় ক্ষিপ্ত দক্ষিণী সুপারস্টার নাগার্জুন। ইতিমধ্যেই তিনি সুরেখাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।
এবার শোনা যাচ্ছে, সুরেখার বিরুদ্ধে নাকি ফৌজদারি মানহানির মামলা করেছেন নাগার্জুন। সঙ্গে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
শোনা যায়, ২০১০ সালে তেলুগু সিনেমা ‘ইয়ে মায়া চেসাভে’র সেটে সামান্থা ও দক্ষিণি সুপারস্টার নাগার্জুনের ছেলে নাগা চৈতন্যর প্রেম শুরু হয়। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে তাদের বাগদান হয়। সে বছরেরই অক্টোবরে ধুমধাম করে বিয়ে হয়। বিয়ের পর সামান্থা আক্কিকেনি পদবী ব্যবহার করতেন। কিন্তু ২০২১ সালের জুলাই মাসে সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল থেকে এই পদবী বাদ দেন।
এর পর শোভিতা ধুলিপালার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান নাগা। সম্প্রতি দুজনের বাগদানও হয়েছে। এর মধ্যেই বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন কোন্ডা সুরেখা। তিনি বলেন, নাগার্জুনের মালিকাধীন এন কনভেনশন সেন্টার নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত। গত আগস্টে এই সেন্টারের একাংশ ভেঙে দেয় হায়দরাবাদের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। সেই সময় নাকি কেটিআর প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সামান্থাকে তার কাছে পাঠালে সেন্টার ভাঙা হবে না। এই প্রস্তাবে সামান্থা রাজি হননি। আর তার জেরেই নাগা-সামান্থার সম্পর্কের তিক্ততা চরমে পৌঁছায়।
নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন সুরেখা। কিন্তু নাগার্জুন ছাড়বার পাত্র নন। শোনা গেছে, আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেই কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। এদিকে সামান্থা নাকি স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন তাকে যেন কোনও রাজনৈতিক কোন্দলে না জড়ানো হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়েছেন নাগা চৈতন্য। তাতেই ফের ট্রলড হয়েছেন তিনি। নিজের বিবৃতিতে একবারও সামান্থার নাম নেননি নাগা। তাকে প্রাক্তন স্ত্রী বলে সম্বোধন করেছেন। তাতেই অভিনেত্রীর অনুরাগীরা বেশ চটেছেন। তাদের প্রশ্ন, সামান্থার নাম উচ্চারণে এত আপত্তি?