দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ও শনাক্তে নতুন রেকর্ড হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৪৬ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৪৭১ জন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছে ৫০২ জন।
আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় মহাখালী থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘আমরা গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৯টি পরীক্ষাগারে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৬ হাজার ৯৫০টি। আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজার ৯৯০টি। ২৪ ঘণ্টায় এই সংগৃহীত নমুনা থেকে শনাক্ত রোগী পেয়েছি ৩ হাজার ৪৭১ জন। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৮১ হাজার ৫২৩ জন।’
অধ্যাপক নাসিমা বলেন, ‘২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৫০২ জন। মোট সুস্থ হয়েছে ১৭ হাজার ২৪৯ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছে ৪৬ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু দাঁড়ালো ১ হাজার ৯৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। মৃত্যু বিশ্লেষণে পুরুষ ৩৭ জন এবং নারী ৯ জন।’
বয়স বিশ্লেষণে করে তিনি বলেন, ’২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর ৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর ৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর ১২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর ১৫ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর ৭ জন, ৮১ থেকে ৯০ ১ জন এবং ১০০ বছরের বেশি ১ জন।’
‘তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ জন, সিলেট বিভাগে ৩ জন, বরিশাল বিভাগে ৩ জন, রংপুর বিভাগে ৫ জন, খুলনা বিভাগে ১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন মৃত্যুবরণ করেছে। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ৩২ জন এবং বাসায় ১৪ জন মারা গেছে’ বলেও জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক।
এর আগে বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল ৩ হাজার ১৮৭ জন, মারা যায় ৩৭ জন। তার আগের দিন বুধবার করোনায় আক্রান্ত হয় ৩ হাজার ১৯০ জন, মৃত্যু হয় ৩৭ জনের।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে দিনে দিনে এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।