সুখবর পেলেন কাতারে বাংলাদেশি প্রবাসীরা৷ সম্প্রতি কাতারে নতুন শ্রমনীতি সংস্কারের কথা ঘোষণা দেয়া হয়েছে৷ আর শ্রমনীতি সংস্কার হলে সরাসরি উপকৃত হবেন প্রবাসীরা৷ বৈষম্যহীন মজুরি ও শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে সেখানে৷ কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, নতুন আইনটি বাস্তবায়ন হলে অভিবাসী শ্রমিকরা নিজেদের পছন্দমতো চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন৷ এ ছাড়া তাদের দেশে বেড়াতে যেতে অনুমতির কড়াকড়ির বিষয়টি অনেকটা শিথিল হবে৷ সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হলো-ন্যুনতম মজুরির বৈষম্যতা দূর হবে৷ কাতারে কাফালা ব্যবস্থায় অভিবাসী শ্রমিকদের চাকরি পরিবর্তন করতে নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) গ্রহণ বাধ্যতামূলক ছিল৷ আর সেই অনাপত্তিপত্র প্রবাসীদের কাছে প্রায় সোনার হরিণের মতোই৷
১৯৫০ সালে করা সেই শ্রমনীতি আইনের সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছে কাতার সরকার৷ সামরিক বাহিনী বাদে অন্য কর্মস্থলের শ্রমিকদের চাকরি পরিবর্তন ও বহির্গমনের জন্য অনাপত্তিপত্র বাধ্যতামূলক নয় মর্মে কাতারের মন্ত্রিসভায় একটি ডিক্রি অনুমোদন করেছে৷ এ ছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে বৈষম্যহীন ন্যূনতম মজুরি কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন নীতিমালাও অনুমোদন দেয়া হয়েছে৷
মধ্যপ্রাচ্যে কাতারেই প্রথম এ ধরনের আইন কার্যকর হতে যাচ্ছে৷ ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকেই নতুন এ শ্রম আইন কার্যকর হবে৷ কাতারে বিভিন্ন পেশায় ৪ লাখের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছে৷ এদের মধ্যে ৭৫ শতাংশই নির্মাণশিল্পে জড়িত৷