করোনা ভাইরাস শনাক্তের প্রধান পরীক্ষা পদ্ধতিটি এতই সংবেদনশীল যে, এটি পুরনো সংক্রমণের মৃত ভাইরাসের ক্ষুদ্রাংশকেও বাছাই করতে পারে। এবং এ কারণে বেশিরভাগ মানুষ এক সপ্তাহর মতো সংক্রামিত থাকলেও আরও কয়েক সপ্তাহ পরও ‘পজিটিভ’ হিসেবে শনাক্ত হয়। আর এ কারণে সম্ভবত মহামারীর চিত্রটা এতটা ভয়াল হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে। গবেষণার বরাত দিয়ে গতকাল এ খবর দেয় বিবিসি।
সংশ্লিষ্ট গবেষণার অন্যতম লেখক, ব্রিটিশ অধ্যাপক কার্ল হেনেগান পরামর্শ দিয়েছেন, ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তর হিসেবে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’মূলক ফল না দেওয়ায় ভালো। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাইরাস না পেলে ‘পজিটিভ’ হিসেবে ফল ঘোষণা করা ঠিক হবে না বলে মনে করেন তিনি।
হেনেগানের ধারণা, পরীক্ষায় পুরনো নিষ্ক্রিয় ভাইরাস শনাক্ত হয় বলেই প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। অথচ হাসপাতালগুলোয় কিন্তু রোগী ভর্তির হার সেভাবে বাড়েইনি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এভিডেন্স-বেজড মেডিসিন এ রকম ২৫টি গবেষণা পুনঃপরীক্ষা করে দেখেছে।
অধ্যাপক হেনেগান বলছেন, সব মানুষের পরীক্ষার ক্ষেত্রে তো আর যাচাই করে দেখা সম্ভব না যে, পুরনো নিষ্ক্রিয় অথবা নতুন সক্রিয় ভাইরাস রয়েছে তার নমুনায়। সে জন্য তিনি এমন একটা উপায় বের করার জন্য বিজ্ঞানীদের আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা বলতে পারেন নির্দিষ্ট এত সংখ্যক ভাইরাস না থাকলে কাউকে করোনা আক্রান্ত বলা ঠিক হবে না।