শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩১ অপরাহ্ন

সঠিক নীতি ও পরিকল্পনায়ই ফল মিলবে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৯
  • ৩৫৫ বার

একে একে দেশের সব জেলা শহরেও রাজধানী ঢাকার মতো যানজট তৈরি হচ্ছে। চলাচলের গতি স্বাভাবিক পর্যায় থেকে কমে যাচ্ছে। এমনকি মহাসড়কগুলোর সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন সত্ত্বেও সেখানে কমবেশি যানজট হচ্ছে। আবার যেখানে যানজট নেই, সেখানে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর ফলে মারাত্মক সব দুর্ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশে জনসংখ্যা ও গাড়ির অনুপাতে সড়ক দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে। তাতে প্রাণহানিও ঘটছে মাত্রাতিরিক্ত।

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো এবং যথাযথ গতি সম্ভব করার জন্য সরকার নানা সময়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছিল, তাতে কাজ হয়নি। এবার আরেকটি আধুনিক ডিভাইস ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট ডিভাইস বা আইটিএস ব্যবহার করলে এর আওতাভুক্ত সড়কের চিত্র নিয়ন্ত্রণ কক্ষ তৎক্ষণাৎ জানতে পারবে। কোথায় দীর্ঘ জট, কোন গাড়ি গতিসীমা লঙ্ঘন করছে, কোথায় দুর্ঘটনা ঘটেছে, কোথায় গাড়ি খারাপ হয়েছেÑ এসব তথ্য জানা যাবে এবং সে অনুযায়ী গাড়িচালকদের নির্দেশনা দেওয়াও সম্ভব হবে। বোঝা যাচ্ছে, এ ডিভাইস তখনই সফল হবে, যখন বিকল্প সড়ক থাকবে। কিংবা যদি চার বা তার অধিক লেন থাকে, তা হলে একটি বন্ধ করে ট্রাফিক অন্য লেনে ঘুরিয়ে দেওয়া সম্ভব। মুশকিল হলোÑ বাংলাদেশে বিকল্প সড়ক, বহু লেনের মহাসড়ক কম। আলোচ্য ডিভাইসটি চালক ও আরোহীদের সড়কের অবস্থার হালনাগাদ চিত্র জানাতে পারবে। কিন্তু সমাধান কি দিতে পারবে? সমাধান দেওয়ার সুযোগ অত্যন্ত কম। ফলে আইটিএস অবহিতকরণে সফল হলেও সমাধান দিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপারগ থাকবে। এটি ব্যবহারের আগে দেখা উচিত খরচের তুলনায় যেটুকু উপকার মিলবে, তা অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হচ্ছে কিনা। আমরা তো প্রায়ই বিস্তর অর্থ ব্যয় করে কোনো নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পর বুঝতে পারি এতে আশানুরূপ লাভ হয়নি। কিন্তু কেউ না কেউ মাঝখানে চুটিয়ে ব্যবসা করে দাঁও মেরে দেন।

আমাদের সড়কে শৃঙ্খলা আনতে ও সময় বাঁচাতে চাইলে আরও বুদ্ধি-বিবেচনা খাটাতে হবে। তবে মহানগরীতে সড়কের দক্ষতা বাড়াতে বিশ্বের সব দেশেই গণপরিবহনের ওপর নির্ভরতা বাড়ানো হয়। আমাদের শহরগুলোয় যানজটের মূল কারণ প্রাইভেট গাড়ির আধিক্য। আইন করে তিনজনের কম যাত্রী নিয়ে ব্যস্ততার সময়ে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করলেই পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি হবে। আর তখনই রাইডশেয়ারিং সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হবে। এখন তো উবার, পাঠাও চলছে ট্যাক্সি বা ব্যক্তিগত গাড়ির মতো। এসব বন্ধ করে প্রকৃত রাইডশেয়ারিং চালু করা এবং গণপরিবহনকে আরও সুলভ, দক্ষ, আরামদায়ক ও নিরাপদ করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com