আধুনিক বিশ্বের প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। আর প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে হাজারো তরুণ-তরুণী স্বাভাবিক জীবনের গতিপথ থেকে ছিটকে পড়ছে। হারিয়ে যাচ্ছে তাদের সোনালি ভবিষ্যৎ।
বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে অনলাইন গেমিং। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে অনলাইন গেমিং ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তারা সময় পেলেই গেমিং জগতে ডুব দেয়। এতে করে হারিয়ে যায় হাজারো বাবা-মায়ের সাজানো বর্ণিল স্বপ্ন। একুশ দশকে এসে পাবজি আর ফ্রি ফায়ার গেমস তরুণ-তরুণীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
এ পাবজি আর ফ্রি ফায়ার গেমসে প্রয়োজন হয় বিশেষ ধরনের পোশাক। আর এ পোশাক কিনতে প্রয়োজন হয় ডায়মন্ড। আর ডায়মন্ড কিনতে প্রয়োজন হয় প্রচুর অর্থ।
তরুণ-তরুণীরা এই অর্থ জোগাতে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে এবং এর ফলে তারা সাধারণ জীবনের ছন্দ হারিয়ে ফেলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনলাইন গেমসকে স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছে।
এক দশক আগেও তরুণ-তরুণীরা সময় পেলে বই পড়াসহ নানা ধরনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে নিজেকে সম্পৃক্ত করত। কিন্তু বর্তমান আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেসব হারিয়ে গেছে। এ অবস্থায় তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষকে প্রযুক্তির অপব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। বিশেষ করে সন্তানের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে সদা সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। পাশাপাশি তাদের জন্য সুস্থ বিনোদন নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষার্থী, এমবিবিএস
ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, গাজীপুর