কোন কৌশলের খেলা এটি? কী এমন ঘটেছিল যে আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিলো। কেন রাজপথ রঞ্জিত হলো? লাশের ওপর পা রেখে কারা ফুর্তি করেছে? সবচেয়ে বড় প্রশ্ন- এর জন্য দায়ী কারা? আরও একটি প্রশ্ন আছে- কারা এতে লাভবান হয়েছে? হিসাব কি বলে? হেফাজত বলছে, পুলিশের সঙ্গে ছিল সশস্ত্র ছাত্রলীগ। আওয়ামী লীগ বলছে হেফাজতকে সঙ্গে রেখে জামায়াত ও বিএনপি’র কাজ এসব। স্বাধীনতা বিরোধীদের কাজ এসব। বিএনপি বলছে হেফাজতের সঙ্গে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। একে- অন্যের ওপর দায় চাপালেও ঘটনা তো ঘটেছে। তাই প্রশ্ন-কারা ঘটিয়েছে এসব। আর কিসের জন্য এত তাজা প্রাণ বলি দিতে হলো? ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে এসেছেন, অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
যাকগে সেসব কথা। এই মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জেলায় লঙ্কাকাণ্ড- এটা কারা ঘটিয়েছে। একে-অন্যের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে রক্ষা পাওয়া যাবে তো? কোনো তৃতীয় পক্ষ যদি এটা করে থাকে, তাহলে প্রমাণসহ তাদের সবার সামনে তুলে ধরতে হবে। মোদি বিরোধিতা এক জিনিস আর ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ড, নির্বিচারে হত্যা আরেক জিনিস। এ ঘটনায় বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি কতটুকু বেড়েছে? কতটুকু অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এভাবে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করার অধিকার কারো নেই। আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেন মৃতপুরী। ভাঙচুর আর আগুনের ক্ষত নিয়ে দেশবাসীকে জানান দিচ্ছে তার অসহায়ত্বের কথা। মন্ত্রী ছুটে গেছেন। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল গেছেন। পুলিশ প্রধান ছুটে গেছেন। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ধ্বংসলীলা দেখে হতভম্ভ। কোন মানুষ এমন কাজ করতে পারে তা ভাবনার বাইরে। আর বসে থাকার উপায় নেই। সময় দেয়ারও সুযোগ নেই। এখনই এসব ঘটনার পেছনে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে হবে। উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। তবে অবশ্যই কোনো নিরীহ সাধারণ মানুষ যেন আইনের গ্যাঁড়াকলে না পড়ে- সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।