বিচারহীনতার একাধিক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো প্রতিকার মূলক ব্যবস্থা নেয়নি। সর্বশেষ রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)র ভিপি নুরুল হক নুরু ও সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
শিক্ষার্থীরা জানায়, এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও তার কোনো ফলাফল আলোর মুখ দেখেনি।
সর্বশেষ রোববার ভিপি ও শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সে মাত্রা আরও বেড়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ঘটনায় প্রতিকার মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাতে বিরোধী মত ও পথকে দমন-পীড়ন করার মাত্রা দিনে দিনে আরও বেড়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার ও কথা বলার স্থান রুদ্ধ করার জন্য এই হামলা চালানো হচ্ছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
ঢাবির শিক্ষাথী জহির উদ্দীন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি আগের ঘটনাগুলোর প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতেন তাহলে রোববারের বর্বর হামলার মতো ঘটনা ঘটতো না। প্রশাসনের আশকারায় তারা এই হামলা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির বিধান না করলে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিরোধ করতে বাধ্য হবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর শিক্ষার্থী রাশেদুল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ব্যানারে যারা রোববারের হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে প্রকৃতপক্ষে তাদের কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আছে বলে আমার মনে হয় না। তাদের উদ্দেশ্য যদি হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবিকে প্রতিরোধ করা তাহলে সংগঠনটির নাম মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ না হয়ে ভিন্ন কোনো নাম হলে ভালো হতো। তারা মুক্তিযুদ্ধের পবিত্র নামটি কে সব অপকর্ম ও অপবিত্র কাজে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
রাশেদ বলেন, সংগঠনটি এর আগেও কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছে। পত্রিকার অফিসে ভাঙচুর করেছে। এর আগে একইভাবে ভিপি নুরের মিছিল-সমাবেশ ও অফিসে তারা হামলা চালিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংগঠনটির কার্যক্রম বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।