ইসলাম বিশ্বজনীন এক চিরন্তন ও শাশ্বত পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইসলামে রয়েছে নারীর সম্মান, মর্যাদা ও সকল অধিকারের স্বীকৃতি, রয়েছে তাদের সতীত্ব সুরক্ষা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যাপক কর্মসূচি।
মানবতার মুক্তির দূত, নবীকূল শিরোমনি হজরত মুহাম্মদ মুস্তফার (সা.) আবির্ভাবে নারীরা তাদের যথাযোগ্য সম্মান ও মর্যাদা লাভ করে।
তার (সা.) প্রতি অবতীর্ণ পূর্ণাঙ্গ ঐশীগ্রন্থ আল কোরআনে আল্লাহতায়ালা শিক্ষা দিলেন, ‘তারা তোমাদের জন্য একপ্রকারের পোশাক এবং তোমরাও তাদের জন্য এক প্রকারের পোশাক’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৭)।
সাধারণত আমাদের দেশের নারীরা নফল নামাজ পড়ায় পুরুষদের তুলনায় এগিয়ে। সময় পেলেই তারা নামাজসহ বিভিন্ন নফল ইবাদতে সময় কাটান। তাই এ ক্ষেত্রে তাদের পোশাকের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে।
ইসলাম পুরুষের পোশাকের ওপর যেমন কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, তেমনি নারীর পোশাকের ব্যাপারেও কিছু নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
সাধারণত অনেক নারী শাড়ি পড়ে নামাজ পড়েন। কিন্তু শাড়ি পড়ে নামাজ আদায় করলে পর্দা লংঘন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যেহেতু পর্দা নামাজের মতোই ফরজ তাই নামাজের আগে পর্দা ঠিক রেখেই নামাজ আদায় করা জরুরি।
নারীরা যে পোশাকই পরিধান করুক না কেন, এমনকি নারী যদি অন্ধকার ঘরে একাও নামাজ আদায় করে তবে নামাজের সময় এ বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।
নারীদের নামাজে শুধু মুখমণ্ডল, হাতের কব্জি ও পায়ের পাতা ছাড়া আর সবকিছু ঢেকে রাখার নির্দেশনা রয়েছে।
যেসবের ব্যতিক্রম হলে নামাজ হবে না-
* যদি কপালের কাছে কিছু চুল বেরিয়ে যায়
* কান একটা বা দুটো বেরিয়ে যায়
* কানের পাশে ঝুলফির চুল বেরিয়ে যায়
* পেছনের চুল বেরিয়ে যায়
* থুতনির নিচে গলার কাছে কোনো অংশ বেরিয়ে যায়
* হাতের কাছে কিছু অংশ বেরিয়ে যায়
* পেট বা পিঠের কাছে কিছু অংশ বেরিয়ে যায়।
– নারীদের ফরজ ও সুন্নাত পোশাক হলো- যা গলা থেকে শুরু করে পায়ের গোড়ালির নিচু বা পাতা পর্যন্ত ঝুলে থাকবে।
– আর মাথায় এমন হিজাব বা ওড়না পরিধান করতে হবে যাতে কোনোভাবেই গলা, ঘাড়, কান, মাথা ও ঝুলপির চুল কিংবা বুকের কোনো অংশ তথা চামড়া দেখা না যায়।
স্বামীর সামনে ছাড়া অন্য সব জায়গায় সর্বাবস্থায় এ পোশাকগুলো পরিধান করে শরীর ঢেকে রাখা নারীর জন্য ফরজ।
যেহেতু সর্বাবস্থায় এ পোশাক ফরজ তাই নামাজের ক্ষেত্রেও নারীকে এ পোশাক পরিধান করেই নামাজ আদায় করতে হবে। শাড়ি পরিধানে যদি এ অবস্থার ব্যতিক্রম হয় তবে শাড়িতে যেমন পর্দার ফরজ আদায় হবে না তেমনি নামাজও আদায় হবে না।