সৎকাজকে আরবিতে বলা হয় ‘আল বির’। এর অর্থ সততা, ন্যায়পরায়ণতা, পুণ্য, গুণ, দানশীলতা, সদ্ব্যবহার ইত্যাদিও আসে।
পবিত্র কোরআনে ‘বির’ বা সৎকাজের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘ভালো কাজ এটা নয় যে, তোমরা তোমাদের চেহারা পূর্ব ও পশ্চিম দিকে ফেরাবে; বরং ভালো কাজ হলো যে ঈমান আনে আল্লাহ, শেষ দিবস, ফেরেশতাগণ, কিতাব ও নবীগণের প্রতি এবং যে সম্পদ প্রদান করে তার প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও নিকটাত্মীয়গণকে, এতিম, অসহায়, মুসাফির ও প্রার্থনাকারীকে এবং বন্দিমুক্তিতে এবং যে নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয়, যারা অঙ্গীকার করে তা পূর্ণ করে, যারা ধৈর্য ধারণ করে কষ্ট ও দুর্দশায় ও যুদ্ধের সময়ে।
তারাই সত্যবাদী এবং তারাই মুত্তাকি। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৭৭)
উল্লিখিত আয়াতে ‘বির’-এর ব্যাপক অর্থ সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বিশুদ্ধ ঈমান, দানশীলতা, নামাজ কায়েম করা, জাকাত দেওয়া, ওয়াদা পূরণ করা, বিপদে ধৈর্য ধারণ করা, সব কিছুকেই ‘বির’ বা সৎকর্মের অংশ বলা হয়েছে।
মহানবী (সা.)-এর ভাষ্য অনুযায়ী উন্নত চরিত্র গঠন সৎকর্মের অন্তর্ভুক্ত। নওওয়াস ইবনে সামআন আল আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে পুণ্য ও পাপ সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। তখন তিনি জবাব দিলেন, পুণ্য হলো উন্নত চরিত্র। (মুসলিম, হাদিস : ৬৪১০)
সৎকাজ মানুষের জীবনে সমৃদ্ধি আনে। মানুষের আয়ু বৃদ্ধি করে। সাওবান (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, কেবল সৎ কর্মই আয়ু বৃদ্ধি করে এবং দোয়া ব্যতিত অন্য কিছুতে তাকদির রদ হয় না। মানুষের অসৎ কর্মই তাকে রিজিক বঞ্চিত করে। (ইবনে মাজাহ, আয়াত : ৯০)
তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত, সৎকাজে আত্মনিয়োগ করা। অসৎ কাজ ত্যাগ করা। মহান আল্লাহ সবাইকে তাওফিক দান করুন। আমিন।