ফুসফুসের বায়ুবাহিত নালির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পেশির আপেক্ষিক সংকোচনে বাধাপ্রাপ্ত হয় শ্বাস-প্রশ্বাস। এতে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এর নাম হাঁপানি। এটি এক ধরনের স্নায়বিক রোগ। এ রোগ প্রাণনাশক না হলে ভীষণ পীড়াদায়ক।
ডা. ইউএম সামন্তের মতে, শরীরস্থ রক্তে এক বা একাধিক ইন-অর্গানিক পদার্থের অভাবে কতগুলো অর্গানিক পদার্থ অকার্যকারী হওয়ায় তা শরীর থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। বের হওয়ার সময় শ্বাসযন্ত্রে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ফলে আক্ষেপ দেখা দেয়। এ শ্বাসযন্ত্রের আক্ষেপিক ক্রিয়াই হাঁপানি।
এ রোগের কারণ হলো- বংশগত; দুর্বলতা এবং নিঃশ্বাস নিতে পরিমাণমতো অক্সিজেনের অভাব; কোনো কোনো ক্ষেত্রে রক্তে ঊড়ংরহড়ঢ়যরষ বৃদ্ধি; ফুসফুসের দুর্বলতা এবং কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া; ধুলা, তামাক চূর্ণ, পাটের গুঁড়া, ফুলের রেণু বা উগ্রগন্ধ; বেশি পরিশ্রম, অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি।
লক্ষণ হলো- শ্বাসকষ্ট এবং বুক আটকে ধরার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়। সাধারণত মধ্যরাতের পর ঘুম ভেঙে যায় এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। বুকে শাঁ শাঁ শব্দ হয়। শ্বাস টানের সঙ্গে সঙ্গে পেটে প্রায়ই বায়ু জমে। টান বাড়লে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব থাকে। কাশি আঠালো হওয়ায় কষ্ট বাড়ে। শুয়ে থাকলে কষ্ট বাড়ে।
উঠে বসলে আরাম বোধ হয়। রোগ যত পুরনো হয়, কষ্ট ভোগের কাল তত বাড়ে এবং বারবার রোগীর টান ওঠে। নিঃশ্বাস গ্রহণে আরাম পেলেও ত্যাগের সময় কষ্ট পায়। রোগী বাতাস পেলে আরাম বোধ করে।
চিকিৎসা : হাঁপানির রোগে কালক্ষেপণ না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। নইলে শ্বাসকষ্টে রোগীর মৃত্যুও ঘটতে পারে।