১৬৯ রানের লক্ষ্যটাও অবলীলায় পেরিয়ে গেল ইংল্যান্ড, ৮ উইকেটে জয় পেল ফিলিপ সল্টের ভয়ডরহীন আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে। সিরিজের ষষ্ঠ ম্যাচটা ইংল্যান্ড হেসে-খেলে জিতে যাওয়ায়, সাত ম্যাচের সিরিজ এখন তিন-তিন সমতায়। ফলে শেষ টি-টোয়েন্টিটা রূপ নিল অলিখিত ফাইনালে। অর্থাৎ, আরো একটা উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ দেখার প্রস্তুতি নিতেই হচ্ছে।
লাহোরে ফ্লাইডলাইটের আলোয় আজ পাকিস্তান খেলতে নামে দলের সব বড় আলো ছাড়াই। সিরিজের সব থেকে উজ্জ্বল মুখ রিজওয়ানকে ছাড়াই মাঠে নেমেছে পাকিস্তান। ৫ ম্যাচে ৭৯ গড়ে ১৪১ স্ট্রাইকরেটে রেকর্ড ৩১৫ রান করা মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বিশ্রাম দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট। তার বদলে পাকিস্তানের ৯৯তম টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয়েছে মোহাম্মদ হারিসের।
রিজওয়ানের জায়গায় এসে রিজওয়ানের মতো আলো ছড়াতে পারেনি হারিস। অভিষেকে ফিরেছে মাত্র ৭ রানে। শান মাসুদও ফিরেছেন দুই বল পরে, ডেভিড উইলির শিকার হয়ে শূন্য রানে। ১৪ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে তখন পাকিস্তান। এর আগে সিরিজের ষষ্ঠ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। পাঁচ ম্যাচে ৩ জয়ে সিরিজে এগিয়ে সিরিজে তখন এগিয়ে বাবর বাহিনী। বিপরীতে ইংল্যান্ডের জয় ২ ম্যাচে।
যাহোক, আজ পাকিস্তানের ভরসার ফুল হয়ে ফুটে উঠেছিলেন অধিনায়ক বাবর। ৩ ম্যাচ পর আবারো অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন তিনি। এর মাঝে ফিরে গেছেন হায়দার আলিও। শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি, আউট হয়েছেন ১৪ বলে ১৮ রানে। তবে বাবরের সাথে ৪৮ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে প্রাথমিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে গেছেন তিনি। এরপর আবারো ৪৮ রানের আরো একটি জুটি গড়ে পাকিস্তানকে ১১০ রানে পৌঁছে দিয়ে ইফতেখার বিদায় নেন ৩১ রানে।
তবে আজও ব্যর্থ আসিফ আলি। ছক্কার জন্য বিখ্যাত আসিফ আজ ফিরেন কোন ছক্কা না মেরেই ৯ বলে ৯ রানে। কিন্তু যখন বাবর আছে মাঠে, তখন পাকিস্তানের চিন্তা কিসে? সাত চার আর তিন ছক্কায় ৫৯ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন পাকিস্তান অধিনায়ক। দলও থামে ৬ উইকেটে ১৬৯ রানে।
১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে হেসে-খেলে লক্ষ্য ছুঁয়েছে ইংল্যান্ড। শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে চাপে ফেলে দিয়েছে পাকিস্তানকে। ৩.৪ বলে ৫৫ রানে প্রথম উইকেটের পতন হয় তাদের। হেলস ফিরে যান ১২ বলে ১৭ রানে। তাতে যেন হিতে বিপরীত; ইংল্যান্ডের ধার যেন আরো বেড়ে উঠে। মাত্র ৭ ওভারেই দলীয় ১০০ ছুঁয়ে ফেলে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ১৯ বলেই ৫০ ছু্ঁয়ে ফেলেন ফিলিপ সল্ট।
ব্যর্থতার আধাঁরে ঢাকা পড়ে যাওয়া সল্ট যেন ফের ফিরে আসলেন নিজের রূপে। ফিরে আসাটা তার জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল। অন্যথায় হয়তো দল থেকেই বাদ পড়ে যেতে হতো। পুরো সিরিজ জুড়েই ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। শেষ ৩ ম্যাচে তো দুই অংকের ঘরই স্পর্শ করতে পারেননি। তবে অভিষেক ম্যাচের পর আজ তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪১ বলে ৮৭ রানে। বেন ডাকেট খেলেছেন হার না মানা ১৬ বলে ২৬ রানের ইনিংস।