বরগুনার বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের আগের দিন ২৫ জুন দুপুরে রিফাত শরীফ ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি রিফাতের ফুফাত বোন হ্যাপি বেগমের বাসায় গিয়েছিলেন। সেখানে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। মিন্নি স্বাধীনভাবে চলতে চেয়েছিল। রিফাত তাকে স্বাধীনভাবে চলতে দিতে রাজি ছিলেন না। এ কারণে ওই বাসায় মিন্নি রিফাতের কাছে ডিভোর্স চেয়েছিল। গতকাল রবিবার বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এমনই সাক্ষ্য দিয়েছেন হ্যাপি বেগম। সাক্ষ্যপ্রদান শেষে আমাদের সময়কে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
একই দিন আদালতে এ হত্যা মামলায় আরও দুজনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। তারা হলেনÑ বরগুনা পৌর কাউন্সিলর ফারুক শিকদার ও জয় চন্দ্র রায়।
সাক্ষ্য প্রদানকালে মামলার অন্যতম আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ৯ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ পর্যন্ত ৩৮ জনের সাক্ষ্য ও জেরা সমাপ্ত হয়েছে।
এদিকে একই আদালতে গতকাল আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন বাতিলের আবেদনের শুনানি করে সাক্ষীকে হুমকির অভিযোগ তদন্তের আদেশ দিয়েছেন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা কারাগার হতে পুলিশ পাহারায় আট আসামিকে দায়রা আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিও তার বাবার সঙ্গে আদালতে উপস্থিত হন। আসামি মুছা এখনো পলাতক রয়েছে। সাক্ষ্য প্রদান শেষে জয় চন্দ্র রায় বলেন, ২৫ জুন সকাল সাড়ে
৯টায় রিফাত ফরাজি ও মিন্নি বরগুনা সরক কলেজ গেটে আসে। আমার সঙ্গে তাদের দেখা হয়। রিফাত চলে যাওয়ার পর আমি ও মিন্নি কলেজে প্রবেশ করি। কিছুক্ষণ পর মিন্নি কলেজের দক্ষিণ পাশের দেয়ালে একটি মই (সিঁড়ি) দিয়ে নয়ন বন্ডের বাসায় যায়। রিফাত শরীফ মিন্নির ফোন বন্ধ পেয়ে আমাকে বারবার ফোন দিয়ে মিন্নির কথা জানতে চায়। আমি রিফাত ভাইকে বলি মিন্নি ক্লাসে। এর পর আমি নয়ন বন্ডকে ফোন দিয়ে বলি রিফাত ভাই মিন্নিকে খুঁজছে। তাকে পাঠিয়ে দাও। আমি নয়ন বন্ডের কথামতো মিন্নিকে আনতে তার বাসায় যাই এবং মিন্নিকে রিকশায় করে নিয়ে আসি।