যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল বুধবার বলেছেন, গত সপ্তাহে চীনের একটি বেলুন গুলি করে ভূপাতিত করা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়া সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র আপাতত চীনের সাথে সঙ্ঘাতে জড়াতে চাচ্ছে না। খবর এএফপি’র।
তিনি পিবিএস’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা চীনের সাথে পুরোপুরি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে যাচ্ছি। কিন্তু আমরা দ্বন্দ্বে জড়াতে চাচ্ছি না এবং এখন পর্যন্ত এটাই হয়েছে।’
এর আগে বেলুন উড়ানোর ঘটনার বৈশ্বিক প্রভাবের দিকে ইঙ্গিত করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রকে নাড়া দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র উদ্ধারকৃত ধ্বংসাবশেষ মূল্যায়ন করে মিত্রদের তথ্য দিচ্ছে।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ওয়াশিংটন এবং আমাদের দূতাবাসের মাধ্যমে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের সাথে তথ্য শেয়ার করেছি।’
ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গের সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা এটা করছি কারণ, যুক্তরাষ্ট্র এই বিস্তৃত কর্মসূচির একমাত্র লক্ষ্য ছিল না। এটা পাঁচটি মহাদেশের বিভিন্ন দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।’
এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সাথে আলাদাভাবে কথা বলতে গিয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বেলুনগুলোকে একটি বহরের অংশ হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, তারা বেশ কয়েক বছর ধরে বিশ্বজুড়ে এমন বেলুন শনাক্ত করে আসছিল।
গত সপ্তাহে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম বহনকারী একটি বিশাল সাদা বেলুন যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ার পর বাইডেন তার সামরিক বাহিনীকে আটলান্টিকের পূর্ব উপকূলে এটিকে গুলি করার নির্দেশ দেয়।
এ ব্যাপারে চীনের পক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলা হয়, বেলুনটি নিছক আবহাওয়া গবেষণার কাজে পরিচালনা করা হচ্ছিল। তবে পেন্টাগন এটাকে একটি উচ্চ প্রযুক্তির গুপ্তচরবৃত্তি হিসেবে বর্ণনা করেছে।
বেলুনটি অধিকাংশ বিমানের চেয়ে অনেক বেশি উচ্চতায় ভেসে যাচ্ছিল এবং এটা একেবারে স্পর্শকাতর একটি মার্কিন সামরিক স্থাপনার উপর দিয়ে সরাসরি অতিক্রম করছিল।