মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউইয়র্ক ২৭মার্চ প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে সমস্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম উপস্থিত অতিথিবৃন্দসহ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্য, জাতীয় চারনেতা, ৭১-এর সকল শহীদ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। পরে মহান স্বাধীনতার উপর নির্মিত একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষাধিক নির্যাতিত মা-বোনের অপরিসীম আত্মত্যাগের কথা। জাতিরপিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে উল্লেখ করে কনসাল জেনারেল অর্থনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অর্জন ও সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে বাংলাদেশের উন্নয়নে আরো কার্যকরী ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি তিনি নতুন প্রজন্মের মধ্যে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দিতে ও প্রাণবন্তকরণে আরো সৃজনশীল উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্য, জাতীয় চারনেতা, ৭১-এর সকল শহীদ, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের ধারাবাহিকতায় ২৮ মার্চ বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল ও বিদেশী কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে কনস্যুলেটে পৃথক একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান হবার কথা।