জীবনের গতি যত বাড়ছে, খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস হচ্ছে অনিয়মিত। আর তারই সঙ্গে দেখা দিচ্ছে লাইফস্টাইলে নানারকম নেতিবাচক প্রভাব। তেমনি একটা কমন সমস্যা হচ্ছে অ্যাসিডিটি।
সাধারণত বেশি ঝাল খাবার খাওয়া, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, দুশ্চিন্তা, ব্যায়াম না করা বা অতিরিক্ত ধূমপানের ফলে অ্যাসিডিটি হতে পারে। বদহজমের সমস্যা রুখতে ও পেটকে সুস্থ রাখতে তাই নজর দিন বিশেষ কয়েকটি দিকে, যা ম্যাজিকের মতো কাজ করবে।
সময় মেনে খাবার খান : চেষ্টা করুন প্রতি দিন একই সময়ে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনার করার। অল্প খান, কিন্তু বারে বারে খান। খাবারের মাঝে মোটামুটি তিন-চার ঘণ্টা সময়ের ব্যবধান রাখলে খাবার হজম হবে সহজে।
হালকা খান : রেড মিট বা গরু, খাসির মাংস যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এটি কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের পক্ষে খুব একটা সুবিধার নয়। খাবার তালিকায় প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে আস্থা রাখুন মুরগির মাংসে। মশলাদের ঝোল বা কষা ছেড়ে সবজি দেয়া স্টু বা স্যুপই থাকুক পাতে। তবে রোজ চিকেন না খেতে চাইলে প্রোটিনের জোগান মেটাতে ভরসা রাখুন সেদ্ধ ডিমে। চিজ মেশানো অমলেট বা তেলে ভাজা পোচ এড়িয়ে চলুন।
চর্বিযুক্ত মাছ বা চালানি মাছ বাদ দিয়ে সামুদ্রিক কিছু মাছ, চারা মাছের ঝোল দিয়েও মাঝে মাঝে খাওয়া সারুন। এতে শরীরের কোলেস্টরলের মাত্রাও বজায় থাকবে।
চা-কফির বদলে গ্রিন টি পান করুন : চা-কফি ছেড়ে গ্রিন টি-তে ভরসা রাখুন। মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে গ্রিন টি। দুধ চা এড়িয়ে চলুন। মাঝেমধ্যে ডায়েট তালিকায় থাকুক ডাবের পানি।
লেবুর রস দিয়ে গরম পানির সঙ্গে দিন শুরু করুন : প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানি লেবুর রস মিশিয়ে খান। এতে শরীরের টক্সিন যেমন সরবে, তেমনই শরীরে পানির মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
শরীরকে আগের অবস্থায় ফেরাতে ও হজমশক্তি বাড়াতে খাবার শেষে নিয়মিত থাকুক টক দই। অফিসে গেলে সাথে রাখুন একটি গোটা ফল। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস