বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল এর উদ্যোগে কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরীর সহযোগিতায় ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখে যথাযথ মর্যাদায় “মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” উদযাপন করা হয়। কনস্যুলেটের বিশেষ উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মত আমেরিকার মূলধারার সং¯’া কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরী, ফ্লাশিং, কুইন্স এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। এবারের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কুইন্স লাইব্রেরীর সাথে আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার সংস্কৃতির সংগে বাংলাদেশী সংস্কৃতির মেলবন্ধন ¯’াপন।
অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে দিবসটির উপরে প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। স্বাগত বক্তব্যে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা ভাষা শহীদদের সম্মান জানিয়ে বলেন দিবসটি সারা বিশ্বে ভাষার বৈচিত্র্য উদ্যাপনের একটি প্রেক্ষাপট তৈরী করেছে যার নেতৃত্ব দি”েছ বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে তিনি মহান ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন। তাঁর বক্তব্যে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, ১৯৪৮ সাল হতে ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব এবং কিভাবে ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে তা তুলে ধরার পাশাপাশি ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জাতির পিতার প্রথম বাংলায় ভাষন এবং এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ দেয়ার কথা বলেন। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ২১ শে ফেব্রুয়ারীকে স্বীকৃতদানের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা উলে¬খ করেন কনসাল জেনারেল।
নিউইয়র্ক রাজ্যের সিনেটর জন ল্যু নিউইয়র্ক রাজ্যের এ্যাসেম্বলি সদস্য ক্যাটালিনা ক্রুজ রন কিম (অংংবসনষু সবসনবৎ জড়হ করস), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের উত্তরাঞ্চলের পরিচালক ব্রুক নোবেল এবং কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরীর প্রেসিডেন্ট ও সিইও ডেনিস এম. ওয়ালকট বক্তব্য রাখেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার সংস্কৃতির সংগে বাংলাদেশী সংস্কৃতির মেলবন্ধন ¯’াপনের জন্য কনস্যুলেট এর এই উদ্যোগকে তিনি অভিনন্দন জানান। উলে−খ্য, কনস্যুলেটের প্রচেষ্টায় নিউইয়র্কের মূলধারার অনুষ্ঠান এ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন সম্পৃক্ত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত বহুভাষা ও সংস্কৃতির সম্মিলনে উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাভাষা ছাড়াও ভুটানিজ, থাই, কসোভান এবং কলাম্বিয়ান ভাষায় স্ব স্ব দেশের শিল্পীরা তাদের দেশীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরে।
কলাম্বিয়া, কসোভো, ভূটান, সুইডেন এবং থাইল্যান্ড এর কনসাল জেনারেলসহ ভারত ও জাপান কনস্যুলেট জেনারেল এর প্রতিনিধিবৃন্দ, ক‚টনীতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, ¯’ানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিত্ব ও জনপ্রতিনিধি, মিশন এবং কনস্যুলেটর কর্মকর্তাবৃন্দ এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং এ আয়োজনের ভ‚য়সী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানটি আমেরিকার মূলধারার সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় কম্যুনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এটিকে একটি বিশেষ প্রাপ্তি হিসেবে অভিহিত করছেন।