জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার নির্ধারণ করেছেন।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ পরবর্তী শুনানির এ তারিখ দেন।
আজ রোববার দুপুর ২টায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি শুরু হয়। জামিন আবেদনের শুনানি কার্যতালিকায় ১ নম্বরে ছিল। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট শুনানির জন্য সময় দুপুর ২টা নির্ধারণ করে দেন।
এসময় বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত বিষয়ে সর্বশেষ তথ্যের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আজ আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার আবেদনটি উপস্থাপনের পর আদালত আজ রোববার শুনানির দিন ঠিক করেছিলেন।
ওই দিন আদালতে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন শুনানির জন্য উপস্থাপন করেছিলেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে জিয়ার চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় নতুন করে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।
আবেদনে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, তার স্বাস্থ্যের চরম অবনতি হয়েছে। তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তার উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না। তাই জামিন পেলে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এর আগে গত ৩১ জুলাই এ মামলায় হাইকোর্ট জামিন আবেদন খারিজ করেন। গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ চার আসামিকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। ২০১০ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করে দুদক।
অন্য দিকে খালেদা জিয়ার কারামুক্তির জন্য আরো একটি মামলায় জামিন নেয়ার প্রয়োজন হবে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন। এটি হলো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে। এ মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দায়ের করা আপিলে সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়, যা আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় আছে।