বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) পাওনা বাবদ আরো এক হাজার কোটি টাকা দিতে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে আদালতের নির্দেশে গতকাল রোববার বিটিআরসির কাছে এক হাজার কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেছে গ্রামীণফোন।
গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর রমনায় বিটিআরসি কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো: জহুরুল হক অপারেটরটির ডিরেক্টর ও হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সা’দাতের কাছ থেকে ১ হাজার কোটি টাকার পে-অর্ডারটি গ্রহণ করেন।
এর আগে এক বিবৃতিতে গ্রামীণফোন জানিয়েছিল, রোববার তারা আদালতের নির্দেশনা মেনে বিটিআরসিকে এক হাজার কোটি টাকা দেবে। এরই অংশ হিসেবে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বিটিআরসিতে গিয়ে এক হাজার কোটি টাকার পে-অর্ডারটি হস্তান্তর করে।
গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে গ্রামীণফোনকে সোমবারের মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ দেন। গ্রামীণফোনের করা রিভিউ আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারকের আপিল বিভাগের বেঞ্চ।
বিটিআরসি বলে আসছে, গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার পাশাপাশি রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে তাদের। কয়েক দফা চেষ্টায় সেই টাকা আদায় করতে না পেরে বিটিআরসি লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিয়ে দুই অপারেটরকে নোটিশ পাঠায়।
বিটিআরসি সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তিতে রাজি না হওয়ায় দুই অপারেটর আদালতের দ্বারস্থ হয়। পরে অর্থমন্ত্রীর উদ্যোগে গ্রামীণফোন ও বিটিআরসির কর্মকর্তাদের মধ্যে দুই দফা বৈঠক হলেও তাতে সফলতা আসেনি।
গ্রামীণফোনের আবেদনে গত ১৭ অক্টোবর বিটিআরসির নিরীক্ষা আপত্তি দাবির নোটিশের ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। বিটিআরসি লিভ টু আপিল করলে আপিল বিভাগ ২৪ নভেম্বর গ্রামীণফোনকে দুই হাজার কোটি টাকা দিতে নির্দেশ দেন।