সরবরাহ স্বল্পতার কারণে বুধবার ঢাকার বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি।
৮ এপ্রিল সরকার খোলা চিনির জন্য প্রতি কেজি ১০৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ১০৯ টাকা নির্ধারণ করে। যদিও ভোক্তারা এই মূল্যের কঠোর বিরোধিতা করে আসছে।
খুচরা বাজারে প্যাকেটজাত চিনি কমই পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি খোলা চিনির জন্যও ভোক্তাদের দিতে হচ্ছে প্রতি কেজি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে বেড়েছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা।
বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানে প্যাকেটজাত চিনি নেই। গত মাসের শেষ দিকে ঈদুল ফিতরের পর থেকে চিনির সরবরাহ নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
পাইকারি কোম্পানিগুলো সরবরাহ কম হওয়ায় সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আমদানিকারকরা আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির উচ্চমূল্যের জন্য সরবরাহ স্বল্পতার জন্য দায়ী করছেন যা অভ্যন্তরীণ সরবরাহকে প্রভাবিত করছে।
তারা বেশি দামে আমদানি করতে যাবে কিনা সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে। দাম বেশি হওয়ায় তারাও আমদানি কমিয়েছে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এক মাসে চিনির দাম ১৫ শতাংশ বেড়েছে, এক বছরে তা বেড়েছে ৬২ শতাংশের বেশি।
কারওয়ান বাজারের চাদপুর স্টোরের সালমত সরদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্যাকেটজাত চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। পাইকারি পর্যায়ে কেনা খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৩০ টাকার বেশি। তারপরও ডিলাররা ক্রয় রশিদ দিচ্ছেন না।
সূত্র : ইউএনবি