বাস নির্ধারিত স্টপেজ পেরিয়ে যাওয়ার পর চালককে গাড়ি থামাতে বলেছিলেন একজন যাত্রী কিন্তু চালক তাতে কান না দেওয়ায় প্রথমে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়ান ওই যাত্রী এবং অল্প সময়ের মধ্যেই পকেট থেকে পিস্তল বের করে চালককে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন।
যাত্রীর গুলিতে বাহুতে আঘাত পান ড্রাইভার। তারপর তিনিও পিস্তল বের করে যাত্রীর দিকে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এর মধ্যে যাত্রী পিছু হটলে বাস থামিয়ে যাত্রী আসনের দিকে পিস্তল তাক করে এগোতে থাকেন চালক। যাত্রীও এই ফাঁকে বাস থেকে নেমে পড়ে ছুট লাগান। তখন তাকে তাড়া করে আরও কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন চালক।
চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের শার্লট শহরে ঘটেছে এই নাটকীয় এ ঘটনা। মার্কিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, ওই যাত্রীর নাম ওমারি টোবিয়াস (২২) এবং চালকের নাম ডেভিড ফুলার্ড। স্টপেজ পেরিয়ে যাওয়ার পর টোবিয়াস যখন ড্রাইভারকে গাড়ি থামাতে বলেন— সে সময় ফুলার্ড উত্তর দিয়েছিলেন— স্টপেজ ছাড়া গাড়ি থামানোর নিয়ম নেই, ওই যাত্রী যেন সামনের স্টপেজে নেমে যান। তারপর নিজের আসনে ফিরেও গিয়েছিলেন টোবিয়াস, কিন্তু কয়েক সেকেন্ড পরেই ফিরে এসে চালককে গুলি করতে থাকেন।
এ ঘটনায় চলক ডেভিড ফুলার্ড বাহুতে এবং ওমারি টোবিয়াস পেটে আঘাত পেয়েছেন। তবে বর্তমানে তারা দুজনই বিপদমুক্ত আছেন বলে জানিয়েছে সিএনএন। শার্লট পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ি চালকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং তাকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে হামলার ঘটনায় টোবিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
এদিকে শার্লটের অন্যতম বাস অপরেটর সংস্থা আরএপিটি ডেভ অভিযোগ করেছে, গাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করে চালক ডেভিড ফুলার্ড পরিবহন আইন ভঙ্গ করেছেন। তবে এই অভিযোগ খণ্ডন করে ফুলার্ডের আইনজীবী বলেছেন, ফুলার্ড তার কাজ করতে গিয়ে নিরাপত্তার অভাবে ভোগেন। এ কারণেই গাড়িতে অস্ত্র রাখেন তিনি।