সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রে পালানোর সময় বিমানবন্দরে আ.লীগ নেতা গ্রেফতার

এনবিডি নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৪ জুন, ২০২৩
  • ৬৪ বার

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম সহ সভাপতি, প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ঢাকায় গ্রেফতার হয়েছেন। দীর্ঘদিন ঢাকায় অবস্থান শেষে যুক্তরাষ্ট্রে পালানোর সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি গ্রেফতার হয়েছেন বলে জানা গেছে। তার গ্রেফতারের খবরে নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকার দৈনিক যুগান্তওে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বুধবার (২১ জুন) মধ্যরাতে বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। অর্থ পাচারের এক মামলায় বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার পর তিনি গ্রেফতার হন। তার গ্রেফতারের সত্যতা যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছে সিআইডির একটি সূত্র।
সূত্রটি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকালে সিআইডির কাছে আবুল কাশেমকে বুঝিয়ে দিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এরপর রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হলে শুনানির জন্য ২৫ জুন তারিখ রাখেন বিচারক। সেইসঙ্গে আবুল কাশেমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আবুল কাশেম

অর্থ পাচারের মামলায় বুধবার ই-কমার্স কোম্পানি আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর আলম শিকদারসহ চারজনের বিদেশযাত্রায় আদালত নিষেধাজ্ঞা দেয় তাদেরই একজন আবুল কাশেম। তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম সহ-সভাপতি।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া বাকি দু’জন হলেন- আলেশা মার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মঞ্জুর আলমের স্ত্রী সাদিয়া চৌধুরী এবং আলেশা মার্টকে মোটরসাইকেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এস কে ট্রেডার্সের মালিক মো. আল মামুন। আবুল কাশেম গ্রেফতার হলেও অন্যরা পলাতক রয়েছেন।
এ মামলার একটি অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালকের পদ পাওয়ার জন্য এবং শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে হাজারো গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া একশ কোটি টাকা মঞ্জুর আলম ওই ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের স›দ্বীপ উপজেলার সন্তান আবুল কাশেম দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এবং এই দেশের নাগরিক। তিনি নিউইয়র্কের ব্রæকলীনে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। তার পেশা কন্সট্রাকশন ব্যবসা। দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর তিনি কয়েক বছর পর আগে পিপলস ব্যাংক প্রতিষ্ঠার অনুমোদন পান। এরপর পর থেকেই তিনি বেশীরভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।
আরো উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই ইতিপূর্বে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা ড. নূরননবী ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম চৌধুরী দেশে ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সাথে সম্পৃক্ত হন। ড. নবী একটি ব্যাংকের অন্যতম পরিচালক আর নিজাম চৌধুরী একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com