যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) পৃথক দুটি ঘটনায় দুই বাংলাদেশী হামলার শিকার হয়েছেন। এদের একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক মাহাথির খান ফারুকীর স্ত্রী সিনথিয়া আলমগীর মাহাথীর এবং অপরজন হচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশী নিয়াজ মাহমুদ। খবর ইউএনএ’র।
সাংবাদিক মাহথির ফারুকী জানান, স্বাধীনতা দিবসের ফায়ার ওয়ার্কস দেখার জন্য মাহাথির খান ফারুকী মঙ্গলবার বিকেলে সোয়া ৮টার দিকে স্বপরিবারে ব্রুকলীনের কনি আইল্যান্ডে গেলে তার স্ত্রী সিনথিয়া ফারুকী দুই বাচ্চা নিয়ে কনি আইল্যান্ডে যান এবং মহাথির গাড়ী পার্ক করছিলেন। এসময় একটি খাবারের দোকানের পাশে বসে বাচ্চাকে খাওয়ানোর সময় পার্শ্ববর্তী ভিনদেশীর পানির বতল পড়ে গেলে তার সিনথিয়ার উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন। তখন সিনথিয়া দু:খ প্রকাশ করলেও ভিনদেশীরা সিনথিয়াকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে শারীকিভাবে আঘাত করে। এসময় সিথিয়া পুলিশ করলে সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ভিনদেশীদের শাসিয়ে বিদায় করে দেয়। কিন্তু বেলা ডুবার পরপরই ৪/৫জন ভিনদেশী আবার সিনথিয়ার উপর হামলা করে। এসময় তারা চোখ ও মুখে ঘুষি পারে। এতে সিনথিয়া মারাত্বকভাবে আহত হলে আশপাশের লোকজন ৯১১ কল করলে পুলিশ আসার আগেই হামলাকারীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। পরে পুলিশ অ্যাস্বুলেন্সযোগে সিনথিয়াকে নিকটবর্তী ল্যান্ডন হসপিটাল সেন্টারে নিয়ে জরুরী বিভাগে ভর্তি করে। জরুরী চিকিৎসা শেষে সিনথিয়াকে বুধবার ভোরে রিলিজ দেয়া হলে সে বাসায় ফিরে আসে।
সাংবাদিক মাহথির ফারুকীর স্ত্রী সিনথিয়া আলমগীর মাহাথীর উপর হামলার ঘটনায় নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন। অপরদিকে নিয়াজ মাহমুদ নামের আরেক বাংলাদেশী মঙ্গলবার কাজ থেকে বাসায় ফেরার পথে ম্যানহাটনের ৮ এভিনিউ এবং ২৩ স্টীটে কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসী কর্তৃক গুরুতর ভাবে হামলার শিকার হন। তিনি নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মিসেস জোহরা বেগম এর স্বামী। এই ঘটনায় নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিনের নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন।