জাপানে প্রমোদতরীতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পর এবার ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো উপকূলে আরেক প্রমোদতরীতে ২১ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। ওই জাহাজকে সান ফ্রান্সিসকো কর্তৃপক্ষ উপকূলে নোঙর করতে দেয়নি বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এদিকে চীনের বাইরেও প্রাণঘাতী করোনা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বিশেষ করে ইরান ও ইতালিতে পরিস্থিতি বেশ নাজুক। ইরানের পার্লামেন্টের নারী সদস্য ফাতেমি রাহবার করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ৫৫ বছর বয়সী ফাতেমি রাজধানী তেহরানে একটি হাসপাতালে দুই দিন কোমায় থাকার পর মারা যান। ফাতেমিসহ ইরানে দুজন সাংসদ মারা গেলেন।
এ ছাড়া ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫৮২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি আরও ২১ জনের মৃত্যুর পর এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৫ জনে। অন্যদিকে ইতালিতে একদিনেই ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে কোভিড ১৯-এ মৃতের সংখ্যা ১৯৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সান ফ্রান্সিসকো উপকূলের কাছে নজরদারিতে রাখা প্রমোদতরী গ্র্যান্ড প্রিন্সেসকে অনির্ধারিত এবং বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত নয় এমন কোনো বন্দরে নিয়ে গিয়ে এর দুই হাজার ৪০০ যাত্রী ও এক হাজার ১০০ ক্রুর দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি পরীক্ষা করা হবে বলে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স জানিয়েছেন। যাদের আলাদা করে রাখার (কোয়ারেনটাইন) দরকার পড়বে, তাদের আলাদা করে রাখা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি অঙ্গরাজ্যে এরই মধ্যে ভাইরসাটি ছড়িয়ে পড়েছে; দেশটিতে কোভিড ১৯-এ মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে।
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে গত বছর ডিসেম্বর ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। গোটা চীনে এখন পর্যন্ত ৮০ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু চীনের বাইরের পরিস্থিতিও এখন উদ্বেগজনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, চীনের বাইরে ইতোমধ্যে ১৮ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছে। তবে অন্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই সংখ্যা আরও বেশি বলে জানিয়েছে এবং সংখ্যাটি এক লাখের কাছাকাছি হবে। শুক্রবার পর্যন্ত ৯০টিরও বেশি দেশে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ব্যক্তির খোঁজ মিলেছে; মৃতের সংখ্যা তিন হাজার চারশ।
সর্বশেষ ভ্যাটিকান সিটি, সার্বিয়া, সেøাভাকিয়া, পেরু ও টোগোর কর্তৃপক্ষও তাদের দেশে কোভিড ১৯-এর উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।