বাঙ্গালীর আত্মপরিচয় ও শেকড় সন্ধানে জেগে থাকা লোকসংগীত উৎসব হবে ৮ জুলাই শনিবার।
‘ফিরে চল মাটির টানে’ শীর্ষক লোকসংগীত উৎসবের আয়োজন করেছে
বেঙ্গলী ক্লাব ইউএসএ। জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় দুুপুর ১২ থেকে রাত ১২ টা পযন্ত বিরাম হীন ভাবে চলবে এই অনুষ্ঠান। গত ৫ জুলাই আয়োজক সংগঠন সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষনা দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন উৎসব কমিটির আহবায়ক দীপক দাস । সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন দুইবাংলার জনপ্রিয় লোকসঙ্গীত শিল্পী পবন দাস বাউল,স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠযোদ্ধা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত রথীন্দ্রনাথ রায়, লোকসংগীত উৎসবের প্রধান অতিথি ও সাপ্তাহিক আজকালের সম্পাদক শাহ নেওয়াজ, লোক সংগীত উৎসব উপদেষ্টা শিতাংসু গুহ ও প্রধান সমন্বয়কারী দীনেশ চন্দ্র মজুমদার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদস্য সচিব শিবলী ছাদেক।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে পবন দাস বাউল বলেন, নিউইয়র্কে এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে লোকসঙ্গীতের ব্যাপ্তি মানুেেষর মাঝে আরও ছড়িয়ে পড়বে। মানুষ লোক সঙ্গীতের মর্মবাণী বুঝতে পারবে।
রথীন্দ্রনাথ রায় বলেন, লোকসঙ্গীতের আবেদন আস্তে আস্তে হারিয়ে যেতে বসেছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় এই সঙ্গীতকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
শাহ নেওয়াজ এই আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, এ রকম মহৎ অনুষ্ঠানে সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। যাতে করে আমাদের সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারি।
শিতাংসু গুহ বলেন, সংস্কৃতির এই অবক্ষয় সময়ে এ ধরণের আয়োজন বিদেশের মাটিতে অবশ্যই গুরত্ব বহন করে।
লিখিত বলা হয় ,উৎসবে গান গেয়ে প্রবাসীদের প্রাণীত করবেন দুইবাংলার প্রাণের শিল্পী, যিনি গ্রামীণ পথে প্রান্তরে গান গেয়ে লোকসংগীতকে সমৃদ্ধ করছেন, নিরন্তর গবেষনা করে সংস্কৃতিকে ঋদ্ধ করে চলছেন, সেই পবন দাস বাউল। থাকছেন লোকসঙ্গীতকে বাঙ্গালীর ঐতিহ্য-শিল্পে, মেধায়-মননে, সুপ্রতিষ্ঠিত করে চলছেন, বাউল শিল্পী কালা মিয়া । এছাড়াও সংগীত পরিবেশন করবেন দেশ-প্রবাসের প্রিয় শিল্পীরা।
টানা ১২ ঘন্টা অনুষ্ঠানে আরও থাকছে ধামাইল,পদাবলী কীর্তন,পুঁথি পাঠ, কবিগান,নৃত্যসহ নানা আয়োজন।
মূলত লোকগীতি,লোকবাদ্য ও লোকনৃত্যকে একসুতোয় গেঁথে ফেলাই হচেছ লোকসঙ্গীত । একেবারে গ্রামীণ শেকড় থেকে উঠে আসা শিল্পীরাই লোকসঙ্গীতের ঐতিহ্যকে পুরুষানুক্রমে সােেমনর দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। লোকসঙ্গীকে গণমানুষের হৃদয়ে লালিত করে চলছে।
বাংলা লোকসঙ্গীতের সীমানা দেশের গন্ডি থেকে, ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। সেই ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রকে আর একটু প্রসারিত করার জন্যই আমাদের এই প্রয়াস।
আমরা জানি, এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই বিদেশভূঁয়ে সংস্কৃতির কোন ব্যাপক পরিবর্তন হয়তোআনতে পারবো না। কিন্ত বিশ্বাস করি,আমাদের শত বছরের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতাকে মানুষের বেেুকর মধ্যে লালন করতে কিছুটা ভূমিকা রাখতে পারবো।