চীনের হুবেই প্রদেশে উৎপত্তি হওয়া নভেল করোনাভাইরাস ইতালিতে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। শনিবার ইতালির বেসামরিক নাগরিক সুরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ২৪৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই সময়ে নতুন করে ৩৬ জন মারা যাওয়ার পর মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৩ জনে।
কর্মকর্তারা বলছেন, লম্বার্ডির সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে করোনাভাইরাস ব্যতীত অন্যান্য অসুস্থতা নিয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকা অন্যান্য রোগীদের প্রতিবেশী অঞ্চলে স্থানান্তরিত করা হবে।
জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার প্রেসিডেন্ট সিলভিও ব্রসাফেরো জানান, মানুষের যতটা সম্ভব বাইরের সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দেয়া উচিত। ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপাতত এটাই একমাত্র উপায়।
উল্লেখ্য, ইউরোপের অন্যতম সমৃদ্ধ দেশ ইতালিতে গত ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছিল।
এদিকে স্পেনের একটি এলাকার বাসিন্দাদের কোয়ারেন্টাইন (ভাইরাস সংক্রমণ হওয়া রোধে পৃথক করে রাখার বিশেষ ব্যবস্থা) অবস্থায় রাখতে সেখানে বিশেষ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
লা রিওজার আঞ্চলিক সরকার শনিবার জানিয়েছে, ১১ হাজার বাসিন্দার শহর হারোতে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কারণ এখানে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক (৩৯জন) আক্রান্ত হয়েছেন। আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ কোয়ারেন্টাইন এলাকা ভঙ্গ করলে অর্থদণ্ড দেয়া হবে বলে সতর্কতাও জারি করেছে। যার পরিমাণ ৩ হাজার ইউরো থেকে ৬ লাখ ইউরো পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে স্পেনে এ পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু এবং চার শতাধিক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মাত্র ৩০ জন সুস্থ হয়ে ফিরেছেন। সূত্র : ইউএনবি