বড়পর্দা থেকে ছোটপর্দা, ফ্যাশন শো থেকে মঞ্চনাটক, অপেরা হাউস বা মেলা মানে যে কোনো সাংস্কৃতিক আয়োজন থমকে গেছে করোনা ভাইরাসের কারণে। বিশ্বজুড়ে একের পর এক অনুষ্ঠান আয়োজন বাতিল হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বিনোদন অঙ্গনেও পড়েছে করোনা ভাইরাসের প্রভাব। সিনেমা হলগুলো প্রায় দর্শকশূন্য। যেসব নাটক এবং সিনেমার শুটিং দেশের বাইরে হওয়ার কথা ছিল সেগুলো হচ্ছে দেশে।
এমনকি দেশের মধ্যেও অনেকে দ্রুত কাজ শেষ করতে করছেন লোকেশন পরিবর্তন। পিছিয়ে যেতে পারে মুক্তির নির্ধারিত তারিখ। আবার পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে নাটক-সিনেমার কাজ। চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে নেপালে ইমন অভিনীত ‘কানামাছি’ ছবির শুটিং শুরু হওয়ার কথা।
করোনার প্রভাবে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে এর কাজ। ইমন বলেন, ‘করোনার প্রভাবে কাজ পিছিয়েছে। জীবনের নিরাপত্তা সবার আগে।’ গত মাসে ‘মিশন সিক্সটিন’ ছবির শুটিং লোকেশন ঠিক করা হয় থাইল্যান্ডে। কিন্তু লোকশেন পরিবর্তন করে এখন কাজ হবে কলকাতায়। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সিনেমা হলগুলোতে দেখা গেছে দর্শক ভাটা। চলতি সপ্তাহে তিনটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। এগুলো হলোÑ শাকিব খান ও নুসরাত ফারিয়ার ‘শাহেনশাহ’, আনিসুর রহমান মিলন ও তাসনুভা তিশার ‘চলো যাই’ এবং নুসরাত ইমরোজ তিশা ও পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ‘হলুদবনি’।
নির্মাতা ও প্রযোজকরা শুটিং বাতিল করেছেন। নির্মাতা ও অভিনেতা শামীম জামান একটি ধারাবাহিক ও তিনটি খ- নাটকের দৃশ্য ধারণের পরিকল্পনা করেছিলেন মালয়েশিয়ায়। শেষ পর্যন্ত শুটিং পিছিয়ে দিয়েছেন। অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘একটু সতর্ক অবস্থার মধ্য দিয়েই আমরা চলছি। এ মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত দেশগুলোতে শুটিং করার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।’
শুটিং বাতিল করেছেন নির্মাতা অনিরুদ্ধ রাসেল, আহমেদ আলভীসহ বেশ কয়েকজন নির্মাতা। সাজু মুনতাসির, আলী বশির, বোরহান উদ্দিনসহ কয়েকজন প্রযোজকও শুটিং বাতিল করেছেন। অনেক তারকা বিদেশ সফর বাতিল করেছেন। ইনস্টাগ্রামে মাস্ক পরা একটি ছবি দিয়েছেন ‘আয়নাবাজি’খ্যাত অভিনয়শিল্পী নাবিলা। হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন ‘স্টে ইন সেফ’।
শুধু আমাদের দেশে নয় বিনোদনাঙ্গন থমকে আছে বিশ্বজুড়ে। মর্যাদাপূর্ণ ভেনিস আর্কিটেকচার বিয়েনালের আয়োজনটি তিন মাস পিছিয়ে আগস্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ থেকে লন্ডনে বইমেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেটি বাতিল করা হয়। সংগীত বিষয়ে ইউরোপের সবচেয়ে বড় মেলা ‘ম্যুজিকমেসে ফ্রাঙ্কফুর্ট’ স্থগিত করা হয়েছে। জর্মানির লাইপসিশ বইমেলাও বাতিল করা হয়েছে। আইটিবি ট্রাভেল ট্রেড শো (বার্লিন) আয়োজনও বাতিল করেছেন আয়োজকরা। প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়াম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।