৫ দিনের ব্যবধানে ২৩ জুলাই রবিবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনা স্টেটে ফিনিক্স সিটির অদূরে কারা গ্রান্দে এলাকায় নিজ গ্রোসারি স্টোরে মোহাম্মদ আবুল হাশিম (৪২) নামক আরেক বাংলাদেশির প্রাণ ঝরলো বন্দুকের গুলিতে। এর আগে ১৯ জুলাই মিজৌরি স্টেটের সেন্ট লুইসে একটি স্টোরে কর্মরত অবস্থায় ইয়াজউদ্দিন আহমদ (২৩) নামক এক বাংলাদেশি দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন। আবুল হাসিমের ঘাতককে গ্রেফতারের সংবাদ পাওয়া গেলেও ইয়াজউদ্দিনের ঘাতক এখন পর্যন্ত গ্রেফতার না হওয়ায় কম্যুনিটিতে ক্ষোভের সঞ্চার ঘটেছে।
আরিজোনাস্থ বাংলাদেশি কম্যুনিটির নেতা এবং ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুব রেজা রহিম ২৪ জুলাই এ সংবাদদাতাকে জানান, কাসা গ্রান্দে সিটির সানল্যান্ড জিন রোড এবং ওয়েস্ট কংকোর্ডিয়া ড্রাইভে অবস্থিত ‘সানলাইট মার্কেট’এ রবিবার সকাল সোয়া ৭টায় বন্দুকধারি দুর্বৃত্তের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আবুল হাশিম।
পিনাল কাউন্টি পুলিশ জানায়, সংবাদ পেয়ে ঐ স্টোরে পৌঁছার পর মেঝেতে নিথর দেহ পড়েছিলে আবুল হাশিমের। গুলিবিদ্ধ হয়ে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে তাকে গুলি করা হয়েছে। ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে ঘাতক হিসেবে সন্দেহভাজন এক কৃষ্ণাঙ্গ দুর্বৃত্তকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আবুল হাশিম ছিলেন ঐ গ্রোসারি স্টোরের মালিক। ৬ বছর বয়সী এক পুত্র এবং দুই বছরের একমাত্র কন্যা সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বসতি গড়েছিলেন আবুল হাশিম। তার ৭ ভাই-বোনের সকলেই বাস করেন একই সিটিতে।
কম্যুনিটি লিডার মাহবুব রেজা রহিম আরো জানান, আবুল হাশিমের মর্মান্তিক এই মৃত্যুর সংবাদে শোকে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে গোটা কম্যুনিটি।
এদিকে, চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসউদ্দিন আহমদের পুত্র উচ্চ শিক্ষার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। লেখাপড়ার খরচ পুষিয়ে নিতে মিজৌরি স্টেটের সেন্ট লুইসে একটি স্টোরে খণ্ডকালিন কাজ নিয়েছিলেন। এমনি অবস্থায় দুর্বৃত্তের গুলিতে তার মৃত্যু হওয়ায় সকলেই আতংকে নিপতিত হয়েছেন।