ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আতঙ্ক সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সার্কভুক্ত দেশগুলোকে এক হওয়ার যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ছয় দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান সমর্থন জানিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার সকালে এক টুইটে নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আমাদের নাগরিকদের কীভাবে সুস্থ রাখা যায়, সে বিষয়ে আমরা ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা করতে পারি। একসঙ্গে আমরা বিশ্বের সামনে একটি উদাহরণ তৈরি করতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর গ্রহ গড়ে তুলতে অবদান রাখতে পারি।”
এরপর বেলা পৌনে দুইটার পরপর দুটি টুইট করেন মোদি। প্রথমটিতে বলেন, ‘আমাদের পৃথিবী এই মুহূর্তে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সব পর্যায়ে সরকার ও জনগণ পরিস্থিতির মোকাবিলায় যথাসাধ্য করছে। নাগরিকদের সুস্থ রাখতে দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারী জনগণের সর্বতোভাবে সচেষ্ট হওয়া উচিত।’
দ্বিতীয় টুইটে তিনি সার্ক সদস্যভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের উপযুক্ত কৌশল তৈরির ওই প্রস্তাব রাখেন, যা তার মতে গোটা পৃথিবীর কাছে ‘দৃষ্টান্তমূলক’ হবে।
মোদির প্রস্তাবে প্রথমে সাড়া দেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে গোতাবায়া টুইটে বলেন, ‘প্রস্তাবমতো শ্রীলঙ্কা আলোচনায় যোগ দিতে প্রস্তুত। পরিস্থিতির মোকাবিলায় একে অন্যের কাছ থেকে শিখতে তৈরি।’
গোতাবায়ার পরপরই মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলি এই উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করেন। লেখেন, ‘মালদ্বীপ এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানাচ্ছে। এই আঞ্চলিক উদ্যোগকে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি।’
প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং।
রাতে এক টুইটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং গঠনমূলক আলোচনার প্রত্যাশা করছেন।”
এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তার বাসায় ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশের সঙ্গে আলোচনা শেষে গণমাধ্যমকে বলেন, এখন পর্যন্ত পাকিস্তান ছাড়া এ প্রস্তাবে সার্কের সব দেশ সমর্থন জানিয়েছে। বাংলাদেশ এতে নীতিগতভাবে সমর্থন জানিয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যেই ভিডিও কনফারেন্সের কথা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, সার্কভুক্ত সব দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন। তাই পাকিস্তানও এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবে। পার্সটুডে।