ভোলায় গত দুই দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে জনদুর্ভোগ বাড়ার পাশাপাশি আমন আবাদে অর্শিবাদ বয়ে এনেছে।
রোববার ভোর থেকে বিরতিহীন বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্থানীয় জনজীবন। কখনো মাঝারি আবার কখনো ভারী বৃষ্টিপাতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ। টানা বৃষ্টির প্রভাবে খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। অফিস-আদালত পাড়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে। সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও সীমিত রয়েছে।
এদিকে টানা বৃষ্টি ও অতিরিক্ত জোয়ারে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়ি বাঁধের বাইরে বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, মাছের পুকুর-ঘেরসহ বিভিন্ন স্থাপনা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। সঙ্কটে পড়েছে বিভিন্ন প্রাণিকূল।
শহরের গাজীপুর রোডের রিক্সাচালক কবির হোসেন বলেন, মুষলধারে বৃষ্টির কারণে জনসাধারণ বাইরে কম বের হচ্ছে। এতে তাদের কম ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে। একইসাথে ভারী বর্ষণের ফলে তাদের রিক্সা চালাতে সমস্যা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
দিনমজুর লোকমান আলী বলেন, বৃষ্টির জন্য আজ কাজে যেতে পারেননি তিনি।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো: মাহবুবুর রহমান বাসস’কে জানান, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গপোসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবেই মূলত বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গতকাল দুপুর ১২টা থেকে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলায় ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৩-৪ দিন এমন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে টানা বর্ষণে আমন আবাদে অর্শিবাদ বয়ে এনেছে। প্রচণ্ড খরায় আমন আবাদে কৃষকের সমস্যা হচ্ছিল। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আমন আবাদে কৃষকদের স্বস্তি এনে দিয়েছে। একই সাথে বজ্রপাত ও বৃষ্টির পানিতে ইউরিয়া তৈরি হচ্ছে জমিতে। ফলে কৃষকদের ইউরিয়া সার কম লাগবে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো: হুমায়ন কবির।