নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ট্রাফিক ইনফোর্সমেন্ট এজেন্ট পদে কর্মরত প্রায় ২৬০০ সদস্যের ইউনিয়ন সিডব্লিউএ লোকাল-১১৮২-র সভাপতি সাইদ রহিম দুদুর বিরুদ্ধে চলমান যৌন হয়রানির মামলাটি অবশেষে সেটেল্ড হলো। মামলায় তিনি হেরে গেছেন। গত ৮/০৮/২০২৩ তারিখে হওয়া সেটেলমেন্টে মামলার বাদী মিস গেইল রামরুপকে ৩১৫,০০০ ডলার দেবার সিদ্ধান্ত হয়।
২০১৯ সালে ৬৭ বছর বয়সী দুদুর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে ৬ লাখ ডলার ক্ষতিপুরণ দাবী করে ম্যানহাটান সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি দায়ে করেন তারই অফিস সেক্রেটারি গেইল রামরুপ।
মামলার রায়ের ফলে তার চাকুরী চলে যাবে, অবসর ভাতা পাবেন না, ডিপার্টমেন্টের সুনাম ক্ষুন্ন হবে, তার সংসার ও সামাজিক সম্মান ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এসব মানবিক কারণে আদালতের বাইরে ক্ষতিপূরণ দিয়ে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে আদালতের আদেশ পাওয়ার জন্য ২০১৯ সাল থেকে সাঈদ রহিমের এটর্নী বারবার আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের কাছে। দীর্ঘ ৩ বছর পর গত ১২/৯/২০২২ তারিখে বিচারক ডেভিড কোহেন এক আদেশে সেটেল্ড করার অনুমতি দেন।
২০১৯ সালে এ মামলাটি হবার পর সভাপতি রহিমকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে নতুন দায়িত্ব গ্রহন করেন স্টাফ রিপ্রেজেনটেটিভ রিকি মরিসন। এই ইউনিয়নে চলমান অর্থনৈতিক অনিয়ম বিষয়ে ফরেনসিক অডিট করান রিকি মরিসন। সেখানে তারা ৩৭টি অনিয়ম পায়।
সিডব্লিউএ-র অডিট এবং তদন্তে রহিমের বিরুদ্ধে ৩৭টি সুনির্দিষ্ট অপরাধ পাওয়া যায়। এরপর গত ৬/০৫/২০২০ তারিখে সিডব্লিউএ- প্রেসিডেন্সিয়াল মিটিংয়ে এই অভিযোগ গুলো আলোচনা করে রহিমকে দোষী প্রমাণিত করে।
উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কে আসেন সাঈদ রহিম দুদু। ২০০৫ সালে নিউইয়র্ক ট্রাফিক বিভাগে চাকুরীতে যোগ দেন তিনি। দুইবার সুপারভাইজার পদে পদোন্নতির সুযোগ এলেও তিনি সে সুযোগ গ্রহণ করেননি।