রাজধানীর কদমতলীর জুরাইনে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের সন্তান আফসানাও (৫) মারা গেছে। আজ বুধবার ৭টা ৫০ মিনিটে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বার্ন ইনিস্টিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শিশু আফসানার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এর আগে ১৩ আগস্ট দিবাগত রাত ২টার দিকে জুরাইন মাদবর বাজার সলিমুল্লাহ রোডের মান্নান মাস্টারের চতুর্থ তলা বাড়ির নিচতলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান শিশুটির মা মুক্তা খাতুন। একই দিন বিকেলে মারা যান তার বাবা আতাহার আলী।
এ ঘটনায় মুক্তা খাতুনের বাবা আলতাফ সিকদার ও মা মর্জিনা বেগম দুজনই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলায়।
দগ্ধ আলতাফ সিকদারের শ্যালক মো. মাহাবুব বলেন, জুরাইন মাদবর বাজার সলিমুল্লাহ রোডের মান্নান মাস্টারের চতুর্থ তলা বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকেন তার বোনের পরিবার। ওই বাসায় ঘটনাটি ঘটার সপ্তাহ খানেক আগে মুক্তা বেগম তার সন্তান আফসানাকে নিয়ে বাবা আলতাফ সিকদারের বাসায় বেড়তে যান। দুদিন আগে মুক্তার স্বামীও ওই বাসায় বেড়াতে যান।
পরে রাতে চুলা ধরাতে গিয়ে বিস্ফোরণে রুমটিতে আগুন লেগে যায়। সে সময়ে মুক্তা, তার বাবা, মা, স্বামী, সন্তানসহ পাঁচজন দগ্ধ হন। এর মধ্যে তার মা-বাবা দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকি তিনই একে একে মারা গেলেন, যোগ করেন মো. মাহাবুব।