অধিকৃত কাশ্মিরে ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছে। তবে নিহতদের স্বাধীনতাকামী বিভিন্ন সংগঠনের সদস্য বলে দাবি করেছে ভারতীয় পুলিশ।
ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, ভারতীয় সেনা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত রোববার সকালে তল্লাশি অভিযান চালায়। এ সময় বন্দুকধারীরা পালানোর চেষ্টা করে। ফলে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। টানা গুলির পর চারজনকে হত্যা করেছে ভারতীয় সেনারা। ভারতীয় পুলিশ দাবি করেছে, চারজনের মধ্যে একজন হিজবুল মুজাহিদিনের সঙ্গে যুক্ত আছেন বলেই জানা গেছে। অন্য দিকে বাকি তিনজন লস্কর-এ-তৈয়্যেবার সঙ্গে যুক্ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ দিন সকালে কাশ্মি রের অনন্তনাগ জেলার দয়ালগাম এলাকায় আচমকা গুলির শব্দ শুনে চমকে ওঠেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। নিরাপত্তারক্ষী ও বন্দুকধারীদের গুলির লড়াইকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধারের দাবি করেন ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীরা। মৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
এ দিকে কাশ্মিরে আবারো গুলির লড়াই শুরু করেছে ভারত ও পাকিস্তান। জম্মু-কাশ্মিরের মেন্ধর ও মানকোট সেক্টরে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে এই গোলাগুলি শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে এই গোলাগুলি শুরু হয় বলে জানা গেছে।
সব রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি দাবি
তা ছাড়া কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ কারাগারে থাকা সব রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি দাবি করেছেন। রোববার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে সরকারের কাছে এই দাবি জানিয়ে ফারুক আবদুল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে জম্মু-কাশ্মির উপত্যকার সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির বাইরের বিভিন্ন কারাগারে থাকা বন্দীদের মানবিক বিবেচনায় মুক্তি দিতে সব দলের সম্মিলিতভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানানো উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। নিজের দাবিকে অত্যন্ত মানবিক উল্লেখ করে ফারুক আবদুল্লাহ আশা প্রকাশ করেন, ‘ওই অঞ্চলের রাজনৈতিক দলগুলো একজোট হয়ে রাজনৈতিক সব বন্দীকে জম্মু-কাশ্মিরে ফিরিয়ে নিতে তার সাথে একাত্মতা পোষণ করবে। সূত্র : কলকাতা২৪