নগরজীবনে সারাক্ষণ ছুটতে থাকাটাই যেন নিয়তি। কাজের বাইরে যতটুকু সময়, সেটুকুও চলে যায় এটা-সেটা করতে করতেই। যানবাহনে বসে-দাঁড়িয়ে মানুষের ঝিমানোর দৃশ্য তো প্রতিদিনের। অফিসে বসেই ক্লান্তিতে শরীর ভেঙে পড়তে চায় কখনো কখনো। প্রতিদিনের ক্লান্তির কিছু কারণ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্লান্ত লাগার অনেক কারণই থাকতে পারে। এ জন্য মানসিক, শারীরিক নানান পরিস্থিতি আর খাদ্যাভ্যাসকেও দুষতে পারেন। তবে শহরের মানুষদের যেসব কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তার মধ্যে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ জেনে নিন। না হলে তো সমস্যার সমাধান হবে না।
খাওয়া
ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া না হলে ক্লান্তি কাটানো কঠিন। অনেকেই সময়ের খাবার খাওয়ার অভ্যাস থেকে বেরিয়ে এসেছেন। যখন ক্ষুদা লাগে, তখনই খেয়ে নেন। তাতে শরীর সময় মতো পুষ্টি পায় না। ফলে কর্মশক্তিও কমতে থাকে।
মানসিক চাপ
মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও নির্ভর করে ক্লান্তি। টানা মানসিক চাপ থাকলে তার চাপ গিয়ে পড়ে পেশিতেও। মাথা ব্যথা, পেটের সমস্যাও লেগে থাকে। সব মিলে ক্লান্তি থেকে যায়।
ঘুম
তথ্য প্রযুক্তির যুগে মোবাইল ফোন, কম্পিউটারের মতো নানা ধরনের জিনিসে ব্যস্ত থাকে প্রায় সবাই। এ সবের কারণে কমছে ঘুমের সময়। তাই প্রয়োজন মতো বিশ্রাম পাচ্ছে না শরীর। ক্লান্তিও কাটছে না।
ওজন
শরীরের ওজন যত বেশি হবে, যে কোনো কাজেই তত বেশি খাটনি হবে। ফলে অনেক বেশি শক্তি ক্ষয় হবে। তাই স্থূলতার কারণেও কাটতে চায় না ক্লান্তি।
ডায়াবেটিস
রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকলেও জানান দেয় শরীর। ক্লান্তি হলো ডায়াবেটিসের একটি গুরুতর উপসর্গ।