ভারত বিশ্বকাপে অংশ নিতে গতকাল বিকেলে দেশ ছাড়ে বাংলাদেশ। ভারতের মাটিতে পা রাখতেই টাইগাররা ঢুকে যায় বিশ্বকাপ বলয়ে। আনুষ্ঠানিকভাবেই শুরু হয়ে যায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন। আজ গোয়াহাটিতে প্রথমবারের মতো অনুশীলনও করেছে দল।
বুধবার রাতে গোয়াহাটি পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। নিজেদের প্রথম ম্যাচ ধর্মশালায় হলেও গোয়াহাটিই ঘাঁটি গেড়েছে সাকিবরা। এখানেই বিশ্বকাপের মূল পর্ব শুরু হবার আগে দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। যেখানে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ড।
রাত পোহাতেই বৃহস্পতিবার মাঠে চলে আসে সাকিব বাহিনী। অনুশীলনে ব্যস্ত সময় পাড় করে পুরো দল। গোয়াহাটির মিষ্টি রোদ গায়ে মেখেছেন সবাই। পুরো দলকে দেখে মনে হয়েছে চনমনে। গত কয়েকদিনে দেশের ক্রিকেটে যা ঘটে গেছে, তার দিকে যেন কোনো ভ্রূক্ষেপও নাই।
শুরুতে হালকা টিম ওয়ার্ক শেষে ফুটবলে মেতে উঠে গোটা দল। সবাই ছিলেন বেশ সিরিয়াস ও হাস্যোজ্জ্বল। মাঠের বাইরের বিতর্ক যেন ছোঁয়নি তাদের। অধিনায়ক সাকিবও ছিলেন বেশ দায়িত্বশীল। নেতৃত্ব দিলেন অনুশীলনেও।
সব বিতর্ক পাশে ফেলে বিশ্বকপে ভালো করতে দল হয়ে খেলার বিকল্প নেই। যা জানেন দলের সবাই। তাইতো অনুশীলনেও সবার দল হয়ে উঠার চেষ্টা। এই চ্যালেঞ্জে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিলেন সাকিব, সবাইকে এক করে রাখলেন উৎসাহমূলক বক্তব্য। জানালেন ঠিক কতদূর নিজেদের লক্ষ্যটা।
দলের সাথে এদিন শুরু থেকেই ছিলেন শ্রীরাম শ্রীধরন। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ট্যাকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ পাওয়া এই ভারতীয় কোচ মাঠে এসেছিলেন অন্য কোচদের সাথে, ক্রিকেটারদের দেখভাল করতে।
তবে ক্রিকেটারদের সাথে তার আর আলাদা করে পরিচিত হতে হয়নি, সাকিব-লিটনদের বেশ ভালো করেই চেনা শ্রীরামের। মাস সাতেক আগেই তো বাংলাদেশ দলের সাথে ছিলেন ‘দ্য জিনিয়াস’ খ্যাত এই কোচ।
উল্লেখ্য, আগামীকাল (শুক্রবার) বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। যদিও মূল পর্বের কোনো ম্যাচ নয়; প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামবে টাইগাররা। যেখানে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। খেলা শুরু বেলা আড়াইটায়।