একটি লঞ্চ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে প্রায় ১২ শ’ যাত্রী। লঞ্চটি গজারিয়া লঞ্চঘাটের সামনে তলা ফেটে গেলেও চালক কোনোক্রমে সেটিকে একটি চরে নিয়ে যেতে পারায় বড় ধরনের একটি দুর্ঘটনা থেকে তারা রক্ষা পায়।
জানা গেছে, প্রায় ১২ শ’ যাত্রী নিয়ে চাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা হওয়া লঞ্চটি গজারিয়া লঞ্চঘাটের সামনে গেলে গ্রীন লাইনের একটি লঞ্চ যাওয়ার সময় প্রচণ্ড ঢেউয়ে লঞ্চের তলা ফেটে পানি উঠতে থাকে। ভয়ে লঞ্চের যাত্রীরা কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। পরে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ কোনোভাবে চরকিশোরগঞ্জের হোগলাকান্দি গ্রামের চরে লঞ্চটি ঠেকাতে পারে এবং যাত্রীরা প্রাণে বেঁচে যায়। এমনটিই জানিয়েছেন বেঁচে যাওয়া যাত্রী নুরুল আলম। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় কবলিত গ্রীন ওয়ার্টার-১০ লঞ্চটির ১২ শ’ যাত্রী নিয়ে কোনভাবে চরকিশোরগঞ্জ ট্রলার ঘাটের সামনে কিনারে আসতে সক্ষম হয়। রাত ১০টার দিকে জানা যায়, ইতিমধ্যে বোগদাদীয়া-১০ লঞ্চটি এসে ৭ শ’ যাত্রী উদ্ধার করে নিয়ে গেলেও বাকি যাত্রীরা অপর একটি লঞ্চের আশায় অপেক্ষমান রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মুনছুর বেপারী জানায়, লঞ্চটিতে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা সাড়ে ৩ শ’ হলেও ১২ শ’ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে চাঁদপুর ভাঙ্গা ফেরিঘাটে যাওয়ার উদ্দেশে। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণেই গ্রীন লাইন লঞ্চ যাওয়ার পরে পানির ঢেউয়ে লঞ্চের ভিতরে পানি উঠে যায় এবং লঞ্চের সামনের অংশের তলা ফেটে যায়। লঞ্চে পানি উঠতে থাকে পানি উঠতে উঠতে লঞ্চ ডুবু অবস্থায় চর হোগলার চরে ঠেকানোর ফলে প্রাণে বেঁচে যায় যাত্রীরা।
স্থানীয় কোস্টগার্ড জানায়, লঞ্চটি ফিটনেসবিহীন, জরাজীর্ণ। তাই গ্রীন লাইন লঞ্জের পানির ঢেউয়ে লঞ্চের তলা ফেটে যায়। ১২ শ’ জন যাত্রী নিয়ে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে রওয়া হয়ে যায়। মেঘনার মোহনায় যাওয়ার পরেই দুর্ঘটনার কবলে পরে।
এ বিষয়ে কলাগাছিয়া নৌফাড়ীর ইনচার্জ পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। অপর একটি লঞ্চের ঢেউয়ে পানি উঠে যায়। পরে লঞ্চটি কোনভাবে চরকিশোরগঞ্জ চর হোগলা গ্রামের চরে উঠাতে সক্ষম হলে যাত্রীরা প্রাণে বেঁচে যায়।